বগুড়ায় পুলিশের ওপর হামলায় মামলা, ২৪ মুরিদ গ্রেপ্তার
০২ এপ্রিল, ২০২০
মামলার বাদী এস আই (নিরস্ত্র) মোঃ আব্দুল গফুর, উপশহর পুলিশ ফাঁড়ি, সদর থানা বগুড়া থানায় হাজির হইয়া এই মর্মে এজাহার দায়ের করেন যে, উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির জিডি নং-২৬৪ তারিখ ২৫/০৩/২০২০ ইং মূলে সঙ্গীয় এটিএসআই/২৪ মোঃ বদিউজ্জমান, এটিএসআই/৪২ মোঃ আঃ রহমান, কং/১১৭৪ মোঃ হাসানুর রহমান, কং/১৪৭৫ মোঃ রুহুল আমিন, কং/১৩৩০ মোঃ আতিকুর রহমান, কং/৯৯৭ মোঃ আবুল কাশেম, সকলেই উপশহর পুলিশ ফাঁড়ি,বগুড়াদের সহ টহল ডিউটি করা কালে সংবাদ পাই যে, করোনা ভাইরাস এর কারনে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় ভাবে সভা সমাবেশ, ওয়াজ, মাহফিল, গণজমায়েত নিষিদ্ধ থাকা সত্বেও সরকারী আদেশ উপেক্ষা করিয়া অত্র থানাধীন সুলতানগঞ্জ গোয়ালগাড়ীতে ইং-২৫/০৩/২০২০ তারিখ সন্ধ্যা হইতে সিরাজুল হক চিতশী এর মাজারে অনেক লোকজন সমাবেত হইয়া ওরশ মাহফিল করিতছিল। উক্ত অনুষ্ঠানের সংবাদ পাইয়া উপশহর পুলিশ ফাড়িঁর ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক জনাব মোঃ নান্নু খান ও এ,এসআই (নিরস্ত্র) মোঃ জাহিদুল ইসলাম ইং-২৫/০৩/২০২০ তারিখ রাত্রি ২১.১৫ ঘটিকার সময় উক্ত ওরশ মাহফিলে গিয়া গণজমায়েত হওয়া আসামী ১। মোঃ শফিকুল ইসলাম নয়ন (৫৬) পিতা মৃত রফিকুল ইসলাম সাং-সুলতানগঞ্জপাড়া গোয়ালগাড়ী, ২। মোঃ নুরুল আমিন (৬৫) পিতা মৃত রুস্তম আলী, সাং- সুলতানগঞ্জ মোস্তাফাবিয়া মাদ্রসার সামনে, ৩। নূর মোহাম্মদ (৩৭) পিতা মৃত আবুল কাশেম, সাং- নিশিন্দারা মধ্যপাড়া, ৪। মোঃ সুমন মন্ডল (২৮) পিতামৃত শামসুদ্দিন মন্ডল, সাং- সুলতানগঞ্জপাড়া গোয়ালগাড়ী থানা ও জেলা-বগুড়া, ৫। মোঃ হারুনুর রশিদ (২৮) পিতা বুদা শেখ, সাং- সুলতানগঞ্জপাড়া, গোয়ালগাড়ী থানা ও জেলা-বগুড়া, ৬। মোঃ নুরুল ইসলাম সোনা (৩২) পিতা মৃত ঠান্ডা প্রাং সাং- বাঘোপাড়া দক্ষিণপাড়া, ৭। মোঃ রাজু মিয়া (৩০) পিতা মৃত ফজলুল হক, সাং- আশোকোলা, ৮। মোঃ আলামিন (৩০) পিতা মোঃ সাহেব আলী, সাং-শাখারিয়া বাউলাবাজার, ৯। মোঃ সোহেল আনসারী (৩০) পিতা মৃত মুনছুর আনসারী, সাং- বাদুরতলা, ১০। মোঃ সাহেব আলী (৫৩) পিতা মৃত কাজেম উদ্দিন প্রাং, সাং- শাখারিয়া বাউলাবাজার, ১১। মোঃ আবু বক্কর (৩৫) পিতা মোঃ আঃ গফুর সাং- নুরানীর মোড় সর্বথানা ও জেলা-বগুড়া, ১২। মোঃ আঃ সাত্তার (৭৩) পিতা মৃত খয়বর আলী, সাং- তালপুকুর, ১৩। মোঃ আঃ রহিম (৫৮) পিতা মৃত সোলায়মান আলী সাং- বীরপলি উভয় থানা-নন্দীগ্রাম, জেলা-বগুড়া, ১৪। মোঃ জিহাদ (১৯) পিতা মোঃ ফজলুল হক, সাং- রুলারহাট মথুরাপুর, থানা- ধুনট, জেলা-ববগুড়া, ১৫। মোঃ আঃ আজিজ (৬৫) পিতা মৃত মজিবর মন্ডল , সাং-আরোলা, থানা-কাহালু জেলা-বগুড়া ১৬। মো আঃ কুদ্দুস (৪৫) পিতা মৃত সবদেল মন্ডল, সাং- উখসা কোনাবাড়ী, ১৭। মোঃ শাহীন হোসেন (৩২) পিতা মৃত সাবান মিস্ত্রী সাং- মেঘাই ১৮। মোঃ বশির আহম্মেদ (২০) পিতা মৃত রেজাউল করিম , সাং- বিয়ারা, ১৯। মোঃ শাহীন আলম (১৯) পিতা মোঃ রেজাউল করিম, সাং- মাজনাবাড়ী, ২০। মোঃ তোতা মিয়া (৪৭) পিতা মৃত মফিজ সরকার, সাং- উত্তর কুমারিয়া বাড়ী, ২১। মোঃ জয়নাল আবেদীন (৫০) পিতা মোঃ শামছুল হক হাজী, সাং- কোনাবাড়ী, ২২। মোঃ সোহরাব হোসেন (৫৫) পিতা মৃত হযরত আলী, সাং- পলাশবাড়ী, ২৩। মোঃ রেজাউল করিম (৪৮) পিতা মৃত আসমত শেখ, সাং- মাঝনাবাড়ী, সর্বথানা-কাজীপুর, জেলা- সিরাজগঞ্জ, ২৪। মোঃ আবুল কাশেম (৫২) পিতা মৃত ইসাহাক আলী, সাং- লাউঘুথি, থানা ও জেলা- ঠাকুরগাঁও সহ অজ্ঞাতনামা ১০০/১৫০ জনদের করোনা ভাইরাসের কারণে গনজমায়েত হতে নিষেধ করিয়া চলিয়া যাইতে বলে। কিন্তু তাহারা উচ্চ স্বরে বলে যে,আমরা বাব-দাদার আমল হইতে ওরশ করিয়া আসিতেছি, সরকারি আদেশ মানি না, মানব না। তাহারা অনুষ্ঠান করিবে, এখানে পুলিশের কি ? বলিয়া ওরশ অনুষ্ঠিত হওয়া বাড়ীর মেইন গেটের দরজা বন্ধ করিয়া তালা দিয়া পোষাক পরিহিত পুলিশের কর্তব্য সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান করতঃ অন্যায় ভাবে আটক করিয়া বেআইনী জনতায় দলবদ্ধ হইয়া একই উদ্দেশ্যে ১নং আসামী মোঃ শফিকুল ইসলাম নয়ন এর হুকুমে সকল আসামীগন হাতে বাঁশের লাঠি, লোহার রড, খড়ি ইত্যাদি নিয়া পুলিশ পরিদর্শক জনাব মোঃ নান্নু খান ও এ,এসআই (নিরস্ত্র) মোঃ জাহিদুল ইসলামের উপর হামলা করিয়া এলোপাথারী ভাবে মারপিট শুরু করে। আসামী নুর মোহাম্মদ এর হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দ্বারা পুলিশ পরিদর্শক জনাব মোঃ নান্নু খান স্যারকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করিলে উক্ত আঘাত পুলিশ পরিদর্শক জনাব মোঃ নান্নু খান এর ডান হাত দ্বারা ঠেকাইলে তাহার ডান হাতের কবজির উপরের ভাগে লাগিয়া হাড় ভাঙ্গা গুরুতর জখম হয়। আসামী মোঃ আবু বক্কর এর হাতে থাকা লাঠি দ্বারা পুলিশ পরিদর্শক জনাব মোঃ নান্নু খান স্যার এর বাম হাতে আঘাত করিয়া ফুলা জখম করে। ১৯নং আসামী মোঃ শাহীন আলমএর হাতে লোহার রড দ্বারা এএসআই (নিরস্ত্র) মোঃ জাহিদুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করিলে উক্ত আঘাত বাম হাত দ্বারা ঠেকাইলে তাহার বাম হাতে লাগিয়া হাড় ভাঙ্গা গুরুতর জখম হয়। অন্যান্য আসামীগন পুলিশ পরিদর্শক জনাব মোঃ নান্নু খান স্যার ও এ,এসআই (নিরস্ত্র) মোঃ জাহিদুল ইসলাম দ্বয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিলা, ফোলা জখম প্রাপ্ত হয় এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মামলার বাদী মোবাইল ফোনে সংবাদ পাইয়া ঘটনাটি মোবাইল ফোনে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিয়া দ্রুত সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ এবং থানা পুলিশের টহলপাটি ঘটনাস্থলে পৌছিয়া পুলিশ পরিদর্শক জনাব মোঃ নান্নু খান ও এ,এসআই (নিরস্ত্র) মোঃ জাহিদুল ইসলাম দ্বয়কে উদ্ধার করেন । ঘটনাস্থল হইতে ১-২৪নং পর্যন্ত আসামীদের আটক করিতে সক্ষম হন। ঐ সময় আসামী ২৫। মোঃ রাশেদুল ইসলাম (৪৫) পিতা মৃত রফিকুল ইসলাম সাং-সুলতানগঞ্জপাড়া গোয়ালগাড়ী,থানা ও জেলা-বগুড়াসহ অজ্ঞাতনামা ১০০/১৫০ জন পলাইয়া যায়। আহত পুলিশ অফিসারদ্বয়কে চিকিৎসার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতাল বগুড়ায় প্রেরন করি। অতপর ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা আসামীদের ব্যবহৃত বিভিন্ন সাইজের ২০ টি বাশের লাঠি ও ৬টি লোহার রড, ৪টি কাঠের খড়ি উদ্ধারপূর্বক জব্দ তালিকা মূলে ইং-২৫/০৩/২০২০ তারিখ ২২.৩০ ঘটিকার সময় জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করেন। উল্লেখিত আসামীরা বেআইনী জনতায় দলবদ্ধ হইয়া পুলিশের কর্তব্য সরকারী কাজে বাধা প্রদান করতঃ অন্যায় ভাবে অবরোধ করিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে পুলিশকে মারপিট করিয়া গুরুতর ও সাধারন জখম করে। এই সংক্রান্তে (1C6EG) বগুড়া এর বগুড়া সদর থানার এফ আই আর নং-১০০, তারিখ- ২৬ মার্চ, ২০২০; জি আর নং-৩৪০/২০২০, তারিখ- ২৬ মার্চ, ২০২০; সময়- সময় ০০.৩৫ মিনিট ধারা- ১৪৩/৩৪২/১৮৬/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/৩০৭/৫০৬/১১৪/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০; রুজু হয়।