কাহালুতে Òকাঠমিস্ত্রী আলম মন্ডল” হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটিত; প্রধান আসামী সিহাব সহ সহযোগী আসামী আল-আমিন @ আকাশ গ্রেফতার এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার।
২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
মামলার গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামী সৈয়দ সিহাব আহমেদ @ সম্রাট (২৪), পিতা- সৈয়দ আফলাকুর রহমান @ পিন্টু, সাং- জাঙ্গালপাড়া, থানা- কাহালু, জেলা- বগুড়া এবং অপর সহযোগী আসামী মোঃ আল-আমিন @ আকাশ (২৬), পিতা- মৃত রমজান আলী প্রাং, সাং- ঘাট মাগুড়া মধ্যপাড়া, থানা- কাহালু, জেলা- বগুড়া দ্বয় ও তাহাদের সহযোগী আসামীগণ ইং-০২/০১/২০২০ তারিখ রাত্রী অনুমান ০৮.৩০ ঘটিকা হতে প্রায় ৪৫ মিনিট কাহালু থানাধীন বারমাইল টু নামুজাগামী পাকা রাস্তার কালাই ঘোনপাড়া গামী কাচা রাস্তা সংলগ্ন স্থানে অবস্থান নেয় । মামলার ভিকটিম পথচারী আলম মন্ডল (২৫), পিতা- মোঃ লালচাঁন মন্ডল, সাং- নলডুবি মধ্যপাড়া, থানা- শিবগঞ্জ, জেলা- বগুড়া এবং অপর পথচারী মোঃ বিপ্লব সরদার, পিতা- মোঃ বাচ্চু সরদার, সাং- কালাই খামারপাড়া, থানা- কাহালু, জেলা- বগুড়াদ্বয়কে আসামীরা চাকু দ্বারা ভয় দেখাইয়া তাহাদেরকে উঠাইয়া লইয়া মামলার ঘটনাস্থল কাহালু থানাধীন সপ্তগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পার্শ্বে বিলে আলুক্ষেতের উত্তরে বাগানবাড়ীতে নিয়া যায়। ভিকটিমদ্বয়কে আসামীরা উঠাইয়া নিয়া যাওয়ার সময় ভিকটিম আলম মন্ডল জোরাজুরি করিলে মামলার প্রধান আসামী সিহাব তাহার হাতে থাকা বার্মিজ চাকু দ্বারা পিছন হইতে আলম মন্ডলের পিঠের বাম পার্শ্বে সজোরে আঘাত করে। পরবর্তীতে তাহারা ঘটনাস্থলে গিয়া ভিকটিমদ্বয়ের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর হইতে আসামীরা ভিকটিমদের পরিবারের নিকট টাকার দাবি করে এবং দাবিকৃত টাকা পাইলে তাহারা তাহাদেরকে ছাড়িয়া দিবে বলিয়া জানায়। ভিকটিমদের পরিবারের লোকজন টাকা দিতে অস্বীকার করিলে মামলার প্রধান আসামী সিহাব ক্ষিপ্ত হইয়া তাহার হাতে থাকা বার্মিজ চাকু দিয়া আলম মন্ডলের বুকের ডান পার্শ্বে গুরুতর আঘাত করে এবং সহযোগী অপর আসামী আটককৃত অপর ব্যক্তি বিপ্লব এর বাম হাতের কনুইয়ের উপরে বার্মিজ চাকু দ্বারা আঘাত করে। এক পর্যায়ে ভিকটিমদ্বয়ের স্ব স্ব পরিবার দাবিকৃত টাকা বিকাশ নম্বরে পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দিলে মামলার গ্রেফতারকৃত সহযোগী আসামী মোঃ আল-আমিন @ আকাশ আটককৃত অপর ব্যক্তি বিপ্লব এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নিয়া দুপচাচিঁয়া সি.ও বাজারস্থ অমিত বসাক এর বিকাশের দোকানে যায় এবং উক্ত দোকান হইতে প্রথমে এজেন্ট নম্বর এবং পরবর্তীতে উক্ত দোকানদার অমিত বসাক এর ব্যক্তিগত বিকাশ নম্বর ভিকটিমদের পরিবারের লোকজনদের দেয় এবং উক্ত বিকাশ নম্বরে প্রথমে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা তার কিছুক্ষণ পর ২,৭০০/- (দুই হাজার সাতশত) টাকা ও ৩০০/- (তিনশত) টাকা সর্বমোট ১৩,০০০/- (তের হাজার) টাকা আসিলে গ্রেফতারকৃত সহযোগী আসামী মোঃ আল-আমিন @ আকাশ টাকা উত্তোলন করিয়া প্রায় এক ঘন্টা পর ঘটনাস্থলে আসে এবং আলম মন্ডলকে জ্ঞান হারানো অবস্থায় দেখিতে পাইয়া অপর আটক আহত বিপ্লবকে আলম মন্ডলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সহ তাহাকে নিয়া রাস্তার দিকে পাঠাইয়া দিয়া হত্যাকারী ও সহযোগী আসামীগণ নাগরনদীর পাড়ে বাঁশঝাড়ে যায়। সেখানে সহযোগী আসামী আল-আমিন @ আকাশ প্রধান আসামী সিহাবকে ২,২০০/- (দুই হাজার দুইশত) টাকা দেয় এবং তাহার হাতে থাকা বার্মিজ চাকু সহযোগী অপর আসামী নিয়া নেয়। তারপর প্রধান আসামী তাহার নিজ বাড়ীতে এবং অপর সহযোগী আসামীগণ বিকাশে উত্তোলনকৃত টাকা ভাগাভাগি করিয়া তাহারা নিজ নিজ বাড়ীতে চলিয়া যায়। গত ইং-০৩/০১/২০২০ তারিখে মৃত আলম মন্ডলের পিতা মোঃ লালচাঁন মন্ডল বাদী হইয়া কাহালু থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে কাহালু থানা পুলিশ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক হত্যাকান্ডটিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়া তদন্ত শুরু করে এবং গত ইং-০৩/০১/২০২০ তারিখ দিবাগত রাত্রীতে বিকাশ এজেন্ট অমিত বসাক(২৪), পিতা- সুমন্ত বসাক, সাং- পশ্চিম বোরাইল, থানা- দুপচাচিঁয়া, জেলা- বগুড়াকে গ্রেফতার করিয়া জিজ্ঞাসাবাদান্তে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হইয়াছ।গ্রেফতারকৃত অমিত বসাক এর দেওয়া তথ্য এবং বাংলাদেশ পুলিশের প্রযুক্তির সহায়তায় ও কৌশলগত গোপন তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্তে গত ইং-০৯/০১/২০২০ তারিখ দিবাগত রাত্রীতে প্রথমে মামলার প্রধান আসামী সৈয়দ সিহাব আহমেদ @ সম্রাটকে কাহালু থানাধীন বারমাইল এলাকা হইতে গ্রেফতার করা হয় এবং তাহার স্বীকারোক্তি মোতাবেক মামলার অপর সহযোগী আসামী মোঃ আল-আমিন @ আকাশকে তাহার নিজ বাড়ী হইতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের স্বীকারোক্তি মোতাবেক মামলার অপর আসামী মোঃ গোলজার হোসেন ফকির @ সোলজার (২৪), পিতা- মোঃ সাইদুল ফকির, সাং- ঘাট মাগুড়া, থানা- দুপচাচিঁয়া, জেলা- বগুড়া এর বসতবাড়ী হইতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়। মামলার তদন্ত অব্যাহত রহিয়াছে।