ভিআইপি প্রোটেকশন

যেসব ব্যক্তি অবস্থান, দায়িত্ব ও মর্যাদার দিক দিয়ে বিশেষ গুরুত্ব বহন করেন এবং যাদের নিরাপত্তা হানি হলে দেশ ও জাতি গভীর সংকটে পতিত হয় তাদের ভিভিআইপি বা ভিআইপি বলা হয়৷ বাংলাদেশের আইন অনুসারে রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধানগণ ভিভিআপি মর্যদা ও নিরাপত্তা ভোগ করেন৷ তাছাড়া জাতির জনকের পরিবারের সদস্যদের বিশেষ নিরাপত্তা বিধানের আইন রয়েছে৷ 

তাছাড়া সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীগণ এবং অন্যান্য উচ্চ পদমর্যাদার সামরিক/বেসামরিক কর্মকর্তাাদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির মর্যাদা দেয়া হয়৷ সরকার যেকোন ব্যক্তিকে ব্যবসায়িক বা অন্যান্য ক্ষেত্রে ভিআইপি ঘোষণা করতে পারেন৷ 

কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম:- 
কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম হল কমিউনিটি সদস্যদের দ্বারা গঠিত একটি ফোরাম বা কমিটি৷ কমিউনিটি পুলিশিং এর মূল কথা হল জনগণকে পুলিশের কাজের অংশীদার হিসেবে গ্রহণ করে অপরাধ সমস্যাগুলোর সমাধানের মাধ্যমে জনগণের জীবনমান উন্নত করা৷ কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম বা সিপিএফ হল জনগণের সাথে পুলিশের অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার একটি তৃণমূল পর্যায়ের আনুষ্ঠানিক কাঠামো৷ কমিউনিটি পুলিশিং দর্শন বাসত্মবায়নের লক্ষ্যে ওয়ার্ড কমিটিগুলোকেই মূল সিপিএফ বলা হবে৷ অন্যান্য কমিটিগুলো হবে সমন্বয় কমিটি৷ 
কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের কাজ 
কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামগুলো মাঠ পর্যায়ে জনগণের সাথে অপরাধ প্রতিরোধে অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করবে৷ এ লক্ষ্যে তারা স্থানীয় সমস্যা চিহ্নিত করা, সমস্যার কারণ বিশেস্নষণ করা, সমস্যা সমাধানে স্থানীয় সম্পদ-ব্যবহার এবং কর্ম-পরিকল্পনা গ্রহণ ও তার বাসত্মবায়ন করবে৷ আমাদের দেশের কমিউনিটি পুলিশিং কাঠামোতে বাসত্মবায়ন পর্যায়ে চারটি সত্মর রয়েছে, যথা- জেলা সমন্বয় কমিটি, থানা সমন্বয় কমিটি, ইউনিয়ন সমন্বয় কমিটি ও ওয়ার্ড কমিটি৷ ওয়ার্ডের বাইরে অন্যান্য কমিটিগুলো মূলত সমন্বয়ের কাজ করবে৷ ওয়ার্ড কমিটিগুলো প্রকৃত বাসত্মবায়ন কার্য পরিচালনা করবে৷ একটি ওয়ার্ড-কার্যকরী কমিটি/ ফোরাম নিম্নলিখিত দায়িত্ব পালন করবে: 

্#৬১৬৫৬; অপরাধ দমন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও সামাজিক সমস্যার সমাধানকল্পে পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাসত্মবায়নে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা৷ 
্#৬১৬৫৬; অপরাধ দমন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ প্রশাসনকে সার্বিক সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করা৷ 
্#৬১৬৫৬; দায়িত্বাধীন এলাকার অপরাধ চিত্র পর্যালোচনা করে নিজেদের করণীয় সম্বন্ধে সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং পুলিশ প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ বা সুপারিশ প্রদান করা৷ 
্#৬১৬৫৬; পুলিশ প্রশাসন ও জনগণের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য কার্যকরী কর্মপন্থা গ্রহণ করা৷ 
্#৬১৬৫৬; সামাজিক সমস্যা, সামাজিক অপরাধ, অন্যায়, অবিচার ও সমাজের সকল ধরণের সামাজিক অসঙ্গতির বির ুদ্ধে প্রশাসনের সহায়তায় প্রতিরোধ গড়ে তোলা৷ 
্#৬১৬৫৬; অপরাধ, দুর্নীতি ও অন্যায়ের বির ুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং গণসচেতনতা সৃষ্টি করা৷ 
্#৬১৬৫৬; সদস্যদের শৃঙ্খলা বিরোধী বা সংগঠনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের পরিপন্থী কাজের বির ুদ্ধে শাসত্মিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা৷ 
্#৬১৬৫৬; অপরাপর সংগঠনের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা৷ 

কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সাংগঠনিক কাঠামো :- 
কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম হল পুলিশী কাজে জন-অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার একটি সাংগঠনিক কাঠামো৷ বাংলাদেশের স্থানীয় সরকারের কাঠামোগুলোর সাথে সমন্বয় করে কমিউনিটি পুলিশিং এর বাসত্মবায়নের ক্ষেত্রে জেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ফোরাম গঠনের কথা বলা হয়েছে৷ ওয়ার্ড কমিটিগুলোই হবে কমিউনিটি পুলিশিং বাসত্মবায়নের তৃণমূল পর্যায়ের সংগঠন৷ ওয়ার্ড ফোরামগুলোর দুইটি অংশ থাকবে - - একটি কার্যকরী কমিটি, অন্যটি হবে উপদেষ্টা কমিটি৷ ওয়ার্ডের বাইরে অন্যান্য কমিটিগুলোর সবই হবে আহবক্ষায়ক কমিটি যে গুলো একজনকে আহবক্ষায়ক করে গঠিত হবে৷ 

একজন সভাপতি, একাধিক সহ সভাপতি, একজন সাধারণ সম্পাদক, একজন সাংগঠনিক/দফতর সম্পাদক, একজন কোষাধাক্ষসহ ওয়ার্ডের সিপিএফ/কমিটির সর্বমোট সদস্য সংখ্যা ১১ থেকে ২১ জনের মধ্যে সীমিত রাখা বাঞ্ছনীয়৷ তবে প্রয়োজনের ভিত্তিতে যে কোনো সময়ে এই সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করা যেতে পারে৷ সদস্যদের এক তৃতীয়াংশ নারী সদস্য হবেন৷ সিপিএফ/কমিটির সংবিধানে প্রতিটি সদস্যের দায়িত্ব ও কর্তব্য, কার্যকাল, অব্যহতিদান সহ সিপিএফ/কমিটির গঠন প্রক্রিয়া সুনির্দিষ্ট ভাবে সংজ্ঞায়িত করা থাকবে৷ সিপিএফ/কমিটির জন্যে নিয়োজিত পুলিশ কর্মকর্তা (সিপিও) পদাধিকার বলে উক্ত কমিটির সদস্য পদ লাভ করবেন৷ 

কমিউনিটি পুলিশিং অফিসার (সিপিও)ঃ 
প্রত্যেক থানায় একজন কমিউনিটি পুলিশিং অফিসার রয়েছেন৷একজন কমিউনিটি পুলিশিং অফিসার পুলিশি কাজে জনসম্পৃক্ততা নিশ্চিত করার জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার কাজ করবেন৷ তিনি তার পুলিশি কাজের বাইরেও নিম্নলিখিত কাজগুলো করবেন৷ 
তিনি তার থানা এলাকা ও জনগণ সমর্্পকে সম্পূর্ণ ধারণা রাখবেন৷ তিনি পায়ে হেঁটে কিংবা মোটর সাইকেল যোগে তার থানার ভৌগোলিক পরিচিতি ও গুর ুত্বপূর্ণ স্থাপনা সমূহের উপর বিসত্মারিত জ্ঞান লাভ করবেন৷ এলাকার মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আবাসিক কমপেস্নঙ্ প্রভৃতি সমর্্পকে বিসত্মারিত ধারণা লাভ করবেন এবং সম্ভাব্য অপরাধপ্রবণ স্থানসমূহ চিহ্নিত করবেন৷ তিনি একটি কমিউনিটির সামগ্রিক প্রোফাইল তৈরি করবেন৷ 
তিনি নির্দিষ্ট একটি মোবাইল নম্বর সহ থানায় একটি অফিস স্থাপন করবেন৷ তিনি কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমের উপর যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণ করবেন৷ বিভিন্ন সময়ে আয়োজিত কমিউনিটি পুলিশিং সভা সমূহের কার্যবিবরণী প্রস্তুত ও সংরক্ষণ করবেন৷ 
তিনি তার এলাকার বিরাজমান সমস্যা সমূহ চিহ্নিত করবেন এবং তার কারণ যথা সম্ভব লিপিবদ্ধ করবেন৷ 
তিনি সমাজের সকল সত্মরের মানুষ যেমন-নেতৃস্থানীয় ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ব্যবসায়ী, স্থানীয় প্রতিষ্ঠান-প্রধান, স্কুল শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা ও অন্যান্য প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সাথে ব্যক্তিগত যোগাযোগ রক্ষা করত একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলবেন৷ 
তিনি স্থানীয় জনগণের সাথে সর্বদা সার্বিক যোগাযোগ রক্ষা করবেন৷ এলাকায় তার বিচরণ হবে সার্বক্ষণিক ও অবাধ৷ তার পূর্ণ পরিচিতি ও ঠিকানা সহ তার সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের বিষয়ে তিনি সকলকে অবহিত করবেন এবং তার সাথে যোগাযোগের জন্য উত্‍সাহিত করবেন৷ তিনি সমাজের সমস্যা, শংকা ও ঝুঁকির উত্‍স সমূহ নিরূপণ করবেন, বিশেষ করে অবহেলিত ও বঞ্চিত মানুষের পাশে এসে দাঁড়াবেন৷ 
তিনি তার দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করবেন এবং তিনি কিভাবে কমিউনিটি পুলিশিং সংক্রান্ত তথ্য ও অন্যান্য সংবাদ বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট সমূহের সাথে সমন্বয় করে থাকেন তা ব্যাখ্যা করবেন৷ সর্বোপরি, বাংলাদেশ পুলিশের সেবার মানকে তিনি বর্তমান অবস্থা থেকে জনগণের প্রত্যাশিত পর্যায়ে নিয়ে যেতে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গ্রহণ ও তার বাসত্মবায়নে তত্‍পর হবেন৷ 
ময়মনসিংহ জেলার ১৩টি থানার কমিউনিটি পুলিশিং অফিসারদের তালিকা নিম্নরূপ 

ঙ্ অধ্যায়- ১২ 
ঙ্ তদারকি ও কমিউনিটি পুলিশিং সেন্টার/সেল সমূহ 
ঙ্ প্রশ্ন-৯৭ : ক্রাইম প্রিভেনশন সেন্টার ও সেল কি? এ গুলো কোথায় অবস্থিত এবং এদের কাজ কি? 
ঙ্ উত্তর ঃ বাংলাদেশের কমিউনিটি পুলিশিং এর স্থায়ী কাঠামো হিসেবে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে ও বিভাগীয় পর্যায়ে রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে ক্রাইম প্রিভেনশন সেন্টার স্থাপিত হয়েছে৷ এ গুলো কৌশলগত অংশীদারি