বৈদ্যুতিক ট্রান্সফার্মার চোর চক্রের মূল হোতাসহ মোট ০৪ জন গ্রেফতার এবং চোরাই মালামাল উদ্ধার
২৮ মার্চ, ২০২৪
বৈদ্যুতিক ট্রান্সফার্মার চোর চক্রের মূল হোতাসহ মোট ০৪ জন গ্রেফতার এবং চোরাই মালামাল উদ্ধার গত ইং ০৫-০৩-২০২৪ তারিখ দিবাগত রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানাধীন ইসলামপুর ইউনিয়নের নামোচরী এলাকা থেকে রাতের আধারে অজ্ঞাতনামা চোরেরা ০৩ টি ট্রান্সফার্মার চুরি করে এবং গত ইং ১৬-০৩-২০২৪ তারিখ দিবাগত রাতে অজ্ঞাতনামা চোরেরা ০১ টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফার্মার চুরি করে। উক্ত ০২ টি চুরির ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় ২০১৮ সালের বিদ্যুৎ আইনের ৩৫/৪০/৪১ ধারায় পৃথক ০২ টি মামলা রুজু হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব মো. ছাইদুল হাসান, বিপিএম পিপিএম মহোদয়ের সার্বিক দিক-নির্দেশনায় এবং জনাব মো. জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবাবগঞ্জ সার্কেল) এর নেতৃত্বে জনাব মোঃ মিন্টু রহমান, অফিসার ইনচার্জ সদর মডেল থানা ও পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) জনাব এস এম মাকসুদুর রহমান দ্বয় এবং সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সহযোগিতায় তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে অজ্ঞাতনামা চোরদের সনাক্ত পূর্বক গ্রেফতার এবং চোরাই ট্রান্সফার্মার উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃজেলা চোর চক্রের মূলহোতা আসামি ০১) মো. গোলাম রসুল'(৩০) কে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট থানার জামবাড়িয়া ইউনিয়নের হেলাচী গ্রামস্থ নিজ বাড়ি হতে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত আসামী গোলাম রসুল'কে জিজ্ঞাসাবাদে সে উল্লেখিত চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার সত্যতা স্বীকার করে। পরবর্তীতে আসামী গোলাম রসুলের এর প্রদত্ত তথ্য ও দেখানো মতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভাধীন আজাইপুর ধানুরমোড়স্থ কাঁসারী ব্যবসায়ী আসামি ০২) মো. মোরসালিন(৪৮) কে গ্রেফতার পূর্বক ০৩ টি ট্রান্সফার্মার চুরির মালামাল উদ্ধার করা হয় । ধৃত আসামী মোরসালিন বিজ্ঞ আদালতে সেচ্ছায় ফৌ: কা বি: ১৬৪ ধারা মতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রাদান করে। আদালতের আদেশ মোতাবেক আসামি গোলাম রসুল'কে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অপর চুরির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং চুরির ঘটনার সাথে জড়িত তার সহযোগী অপর আসামীদের কে শিবগঞ্জ থানাধীন দেবীনগর সেলিমাবাদ গ্রামস্থ আসামি ০৩) মোঃ খাইরুল খান (৩৭) এবং রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানাধীন মাটিকাটা গ্রামস্থ আসামি ০৪) মো. আমিনুল ইসলাম (২৮) কে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত আসামী খাইরুল ও আমিনুল'কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানায়০২ টি চুরির ঘটনায় ০৪ টি ট্রান্সফার্মার তারা ০৩ জন মিলেই চুরি করেছে এবং কাঁসারী ব্যবসায়ী মোরসালিন'কে দ্বিতীয় চুরির মালামালগুলিও দিয়েছে। আসামীদের দেখানো মতে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফার্মারের চুরির মালামালগুলি মোরসালিনের দোকান থেকে উদ্ধার করা হয়। উল্লেখ্য আসামি রসুল এবং আসামি খাইরুল একসঙ্গে জেলে থাকার সময় ট্রান্সফার্মার চুরির পরিকল্পনা করেছিল। উল্লেখিত ঘটনায় আসামিগণকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে ।