গত ইং ০৪/০৪/২০২০ তারিখ সকাল ০৮.৫৫ ঘটিকার সময় জনৈক মোঃ আবু হোসেন, পিতা- চিমনা মন্ডল, সাং- রাঘবপুর, থানা ও জেলা- জয়পুরহাট এর লিচু বাগানের লিচু গাছের ডালের সহিত ভিকটিম প্রদিমা(৩০)- এর নিজের পড়নের ওড়না দ্বারা ফাঁস লাগানো মৃতদেহ বসানো অবস্থায় পাওয়া যায়। তার পা দুটি সামনের দিকে বিছানো, জিহ্বা বের করা, জিহ্বাতে কামড় দিয়ে ধরা অবস্থায় ছিল। উক্ত মৃত দেহ উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়। ভিকটিমের মায়ের লিখিত এজাহারের প্রেক্ষিতে জয়পুরহাট থানার মামলা নং ০৪, তাং- ০৪/০৪/২০২০, ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়। উক্ত মামলার তদন্তভার এসআই(নিরস্ত্র) মোঃ উজ্জল মিয়ার উপর অর্পন করলে তিনি ভিকটিম এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে গত ইং ০৭/০৪/২০২০ তারিখ দিবাগত রাত্রে অভিযান পরিচালনা করে রাত্রী ২৩.০৫ ঘটিকার সময় জয়পুরহাট থানাধীন তেঘর রেলগেট এলাকা হতে আসামী মোঃ সাজু(৩০), পিতা- আঃ সালাম, সাং- তেঘর মিন্টুপাড়া, থানা ও জেলা- জয়পুরহাটকে কে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসামী ভিকটিম কে গত ইং ০৩/০৪/২০২০ তারিখ দিবাগত রাত্রীতে জনৈক মোঃ আবু হোসেন, পিতা- চিমনা মন্ডল, সাং- রাঘবপুর, থানা ও জেলা- জয়পুরহাট এর লিচু বাগানের মধ্যে গলাটিপে হত্যা করে ভিকটিমের ওড়না গলায় প্যাচ দিয়ে লিচু গাছের ডালের সহিত ঝুলিয়ে রাখে এবং ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইলটি জলাটুল ওয়াক্তিয়া মাটির মসজিদ সংলগ্ন আফজাল, পিতা- মৃত মইস উদ্দিন এর পারিবারিক কবরস্থানের পার্শ্বে জনৈক দেওয়ান মোস্তাক এর বাউন্ডারি ওয়ালের ধারে লুকিয়ে রাখে। আসামী সাজুর স্বীকারোক্তি মোতাবেক ভিকটিমের মোবাইলটি সাক্ষীদের উপস্থিতিতে উক্ত স্থান হতে উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।