মোহনপুরে যৌতুকের জন্য মারপিট মামলায় ০১ (এক) জন আসামী গ্রেফতার।
০২ সেপ্টেম্বর, ২০২১
গত ২০১৮ সালে বাদীর মেয়ে মোছাঃ শারমিন সুলতানা (২২) এর ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। বিবাহের পর হইতে গ্রেফতারকৃত আসামী বাদীর মেয়েকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করাসহ ৫,০০,০০০/-(পাঁচ লক্ষ) টাকা যৌতুক দাবী করে, যৌতুক না দেওয়ায় বাদীর মেয়ে আসামীর উক্তরুপ আচরণ সহ্য করতে না পারায় উভয় পক্ষ বসে ২০১৯ সালে তাদের ডিভোর্স হয়। পরবর্তীতে আপোষ-মিমাংসার মাধ্যমে পুনঃরায় গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ আব্দুল মতিন বাদীর মেয়েকে নভেম্বর/২০২০ খ্রিঃ মাসেই বিবাহ করে। বিবাহের কিছুদিন সুখে শান্তিতে ঘর-সংসার করার পরে গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ আব্দুল মতিন বাদীর মেয়ের নিকট হইতে ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা ও একটি পালসার মোটরসাইকেল যৌতুক দাবী করে বলে যে যৌতুক না দিলে তাকে আবার ডিভোর্স দিবে। এমতাবস্থায় গত ঈদুল-আযহার পরেরদিন বাদী তার মেয়েকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে। তারপর থেকে বাদীর মেয়ে তাদের বাড়িতেই থাকে। আসামী মোঃ আব্দুল মতিন মাঝে মধ্যে বাদীর বাড়িতে এসে যৌতুকের টাকার জন্য বাদীর মেয়েকে বিভিন্নভাবে শাসন গর্জন করে। এমতাবস্থায় গত ইং ০১/০৯/২০২১ইং তারিখ সন্ধ্যা ০৭.৩০ ঘটিকায় গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ আব্দুল মতিন বাদীর বাড়িতে এসে তার মেয়ের নিকট পুনঃরায় যৌতুক দাবী করে, বাদীর মেয়ে যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করলে মোহনপুর থানাধীন বৃ-হাটরা গ্রামস্থ বাদীর বসত বাড়ির উত্তর দুয়ারী দুতলায় বাদীর মেয়ের শয়ণ কক্ষে গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ আব্দুল মতিন এলোপাথারীভাবে বাদীর মেয়েকে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিলাফোলা ও রক্তাক্ত জখম করে। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করিয়া মোহনপুর থানার মামলা নং-০২, তাং-০২/০৯/২০২১ খ্রিঃ ধারা- ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী/২০০৩) এর ১১(গ) রুজু করা হয়। পরবর্তীতে রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার জনাব এ বি এম মাসুদ হোসেন, বিপিএম (বার), মহোদয়ের নির্দেশনায় অফিসার ইনচার্জ মোহনপুর থানা মোহাঃ তৌহিদুল ইসলাম এবং পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ তৌহিদুর রহমান এর নেতৃত্বে মোঃ আব্দুল মতিন (২৮), পিতা- মোঃ আবুল কাশেম , স্থায়ী : গ্রাম- চক মানিক, উপজেলা/থানা- মান্দা, নওগাঁকে মোহনপুর থানাধীন মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এর সামনে হইতে গ্রেফতার করে আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপদ্দ করা হয়েছে।