মোহনপুরে নারী ও শিশু ধর্ষন মামলার ০১ (এক) জন আসামী গ্রেফতার।
১৩ অগাস্ট, ২০২১
মোহনপুর থানাধীন বেড়াবাড়ী গ্রামস্থ বাদী মোঃ সামসুল হুদা (৫৬), পিতা- মোঃ আয়েজ উদ্দিন, মাতা- মোসাঃ ওবিজান, সাং- বেড়াবাড়ী বহলডাইং, থানা- মোহনপুর, জেলা- রাজশাহী এর ছোট বোন ভিকটিম মোসাঃ পিয়ারজান (৩৬) মূক প্রতিবন্ধী। মামলার ধৃত আসামী মোঃ আঃ মালেক (২৮), পিতা- মোঃ মহির উদ্দিন, মাতা- মোসাঃ বেগম , স্থায়ী : গ্রাম- বেড়াবাড়ী, থানা- মোহনপুর, রাজশাহী সম্পর্কে ভিকটিমের আপন চাচাতো ভাই হয়। ভিকটিমের সাথে আসামী মালেকের পূর্ব থেকেই সম্পর্ক ছিল। উক্ত সম্পর্কের জেরে গত ২৩/০৭/২০২১ খ্রিঃ রাত্রী অনুমান ০৮:০০ ঘটিকায় আসামীদের বাড়ীতে কেহ না থাকার সুযোগে প্রতিবন্ধী ভিকটিম মোসাঃ পিয়ারজান (৩৬) কে ধৃত আসামী মালেক মোহনপুর থানাধীন বেড়াবাড়ী বহলডাইং সাকিনে আসামীর উত্তর ভিটার দক্ষিণ দুয়ারী শয়ন ঘরে ডেকে নিয়ে কৌশলে তার পড়নের পায়জানা খুলে ধর্ষণ করে। অতঃপর এজাহারনামীয় অপর আসামীদ্বয় ভিকটিমকে মারপিট করে বাড়ীর বাইরে বের করে দিলে তখন প্রতিবেশী সাক্ষীগনসহ এলাকার আরো অনেকেই উক্ত বিষয়টি আন্দাজ করতে পারে। বাদী তখন তার প্রতিবন্ধী বোন ভিকটিম পিয়ারজানকে ঘটনাস্থলে ঘটনা সম্পর্কে ইশারা-ইঙ্গিতে জিজ্ঞাসা করিলে ভিকটিম ইশারা-ইঙ্গিতে আসামী মালেক সরদারের ছবি দেখাইয়া বুঝায় যে, আসামী মালেক তাকে নষ্ট করেছে। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোহনপুর থানার এফ আই আর নং-১/১০৯, তারিখ- ০১ আগষ্ট, ২০২১; জি আর নং-১০৯, তারিখ- ০১ আগষ্ট, ২০২১; ধারা- ৩২৩ পেনাল কোড-১৮৬০; তৎসহ ৯(১) ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ মামলা রুজু করা হয়। পরবর্তীতে রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার জনাব এ বি এম মাসুদ হোসেন, বিপিএম (বার), মহোদয়ের নির্দেশনায় অফিসার ইনচার্জ মোহনপুর থানা মোহাঃ তৌহিদুল ইসলাম এবং পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ তৌহিদুর রহমান এর নেতৃত্বে আসামী মালেককে গত ১২/০৮/২০২১ খ্রিঃ তারিখে আরএমপি রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানাধীন হাতেম খাঁ লিচু বাগান জামে মসজিদের ম্যাচ হতে গ্রেফতার করে আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপদ্দ করা হয়েছে।