প্রতারক আটক
৩১ জুলাই, ২০২১
গত ইংরেজী ২৯/০৭/২০২১ খ্রি. দিবাগত রাত ২১:৫০ ঘটিকায় মোবাইল নম্বর-০১৮৪০-৫৫৮০৬৬ থেকে মোহনপুর থানায় কর্তব্যরত অবস্থায়, মোহনপুর থানার ব্যারাকে অবস্থানকালে এএসআই(সঃ)/২৭২ এ.কে.এম ফজলুল হক এর মোবাইল নম্বর-০১৭৩৯-৬৭৯৮৯৮ তে হোয়াটস অ্যাপে কল আসে। কলকারী নিজেকে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট শাখার ইন্সপেক্টর সালাম হিসেবে পরিচয় প্রদান করে উক্ত এএসআই(সঃ)/২৭২ এ.কে.এম ফজলুল হককে জানান যে, তার নাম পার্বত্য জেলার জন্য মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তাকে কিছু টাকা দেয়া হলে সে এই মনোনয়ন ঠেকিয়ে দিতে পারবে বলে জানায়। কথা বলার পর উক্ত এএসআই(সঃ) বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য রাজশাহী জেলা পুলিশের আরওআই ইন্সপেক্টর নিরঞ্জন কুমার ঘোষকে জানান। আরওআই সাহেব বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে রাজশাহী জেলার ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে অবগত করেন। উল্লেখ্য ইতিপূর্বেও একই কন্ঠের, একই পরিচয়ে রাজশাহী জেলা পুলিশ লাইন্স এ কর্মরত এএসআই(সঃ)/৩৬৭ মোঃ রফিকুল আলম খান, এএসআই(সঃ)/১৯৬ মোঃ গোলাম ফারুক, এএসআই(সঃ)/৪১ মোঃ শাহ্জালাল, এএসআই(সঃ)/২০৪ মোঃ ছুলাইমান আলী, রাজশাহী জেলার মোহনপুর থানার এসআই(নিঃ)/রাজু আহম্মেদ, এসআই(নিঃ)/আমজাদ হোসেন, এএসআই(নিঃ)/মোঃ শামছুর রহমান, এএসআই(নিঃ)/মোঃ আব্দুল খালেকসহ পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত অফিসার ফোর্সদের মোবাইল নম্বর-০১৮৪০-৫৫৮০৬৬ এবং ০১৯১৮-৮০৫৭৮৭ সহ বিভিন্ন নম্বর থেকে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে সরাসরি মোবাইল/বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে নিজেকে কখনো ইন্সপেক্টর সালাম আবার কখনো ইন্সপেক্টর মিজান পরিচয় প্রদান করে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে বদলী করা হবে মর্মে প্রস্তাব যাচ্ছে বলে জানায়। কাজেই বদলী বাতিল করতে চাইলে তার সাথে যোগাযোগ করাসহ বিভিন্ন অংকের অর্থ প্রদানের জন্য বলে। তার উক্ত কথায় দূরবর্তী এলাকায় পদায়ন ঠেকানোর জন্য সরল বিশ্বাসে অনেক পুলিশ সদস্যই তার প্রেরীত বিকাশ/নগদসহ বিভিন্ন আর্থিক লেনদেনকারী অ্যাপসের মাধ্যমে বিভিন্ন অংকের অর্থ প্রেরণ করে মর্মে জানা যায়। তখন রাজশাহী জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষগণ বিষয়টি অনুসন্ধানের উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় উল্লেখিত নম্বর দুইটির অবস্থান দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানা এলাকায় মর্মে সনাক্ত করা সম্ভব হয়। এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় অফিসার ইনচার্জ, মোহনপুর থানা, মোহনপুর থানার জিডি নম্বর-১৩১৭, তারিখ-৩০/০৭/২০২১ খ্রি. মূলে বিস্তারিত লিপিবদ্ধ করেন। উক্ত জিডির বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজশাহী জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ)/মুহাম্মদ রুহুল আমিন এর নেতৃত্বে এসআই(নিঃ)/মোঃ শামীম হোসেন, (বিপি-৮৫০৫১০০৩৯৬) সঙ্গীয় এএসআই(নিঃ)/মোঃ মহসিন আলী, কং/৭৭১ মোঃ শামীম পারভেজ, কং/১৩৯২ মোঃ আকবর আলী, কং/৪০২ মোঃ হাফিজুর ইসলাম, কং/৮৮৩ মোঃ ফারুক আহম্মেদ, ড্রাইঃ কং/৭৮৬ মোঃ মাসুদ রানাসহ জেলা গোয়েন্দা শাখার জিডি নম্বর-২৫৪, তারিখ-৩০/০৭/২০২১ খ্রি. মূলে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানার উদ্দেশ্যে রওনা করেন। দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানায় হাজির হয়ে বিরামপুর থানা পুলিশের সহায়তায় উল্লেখিত আসামী মোঃ আল আমিন সরকার (৩৭), এনআইডি নম্বর-২৭২১০০৭৮৭৬২৯৭, পিতা-মোঃ আপেল মাহমুদ সরকার, সাং-চাঁদপুর কলেজপাড়া, ওয়ার্ড নম্বর-০৭, বিরামপুর পৌরসভা, বর্তমান সাং-পলি প্রয়াগপুর ভেটাই, থানা-বিরামপুর, জেলা-দিনাজপুরকে আটক করেন। আটকের পর তাৎক্ষণিকভাবে বর্ণিত আসামীকে উল্লেখিত ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আমাদের সকলের সম্মুখে স্বীকার করে যে, সে নিজেকে মিথ্যা পুলিশ অফিসারের পরিচয় প্রদান করে সে সহ অন্যান্য অজ্ঞাতনামা আসামীদের সহযোগীতায় বেশ কিছুদিন যাবৎ এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ পূর্বক আত্মসাৎ করে আসছে। এছাড়াও আরো জানায় যে, সে বেশিরভাগ সময় নিজের নামে রেজিষ্ট্রেশনকৃত মোবাইল নম্বর ব্যবহার না করে ইতিপূর্বের অব্যবহৃত অথবা যে কোন ব্যক্তির নিকট হতে সীম সংগ্রহপূর্বক এ ধরণের প্রতারণা করে থাকে এবং বিভিন্ন অপারেটরের সীম অল্প কিছুদিন ব্যবহার করার পর তা নষ্ট করে ফেলে। তবে এ কাজে মোবাইল নম্বর-০১৯১৮-৮০৫৭৮৭, ০১৮৪০-৫৫৮০৬৬, ০১৭২১-৪৫৯০২৩ সহ বিভিন্ন অপারেটরের সীম ব্যবহার করেছে মর্মে জানায়। উপরোক্ত আসামী ভুয়া পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয় প্রদান করে প্রতারণার মাধ্যেমে একই উদ্দেশ্যে অর্থ গ্রহণপূর্বক আত্মসাৎ করায় পরবর্তীতে মোহনপুর থানার মামলা নং -১৮, তারিখ- ৩১/০৭/২০২১ খ্রিঃ, ধারা- ১৭০/৪১৯/৪২০/৩৪ পেনাল কোড মামলাটি রুজু করিয়া আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ্দ করা হয়েছে।