রাজশাহীর একজন মানবিক এসপির ইতিকথা
২৮ জুলাই, ২০২১
পবিত্র ঈদ- উল- আজহা ২০২১ উপলক্ষে রাজশাহী জেলা পুলিশে কর্মরত পুলিশ সদস্য, সিভিল স্টাফ ও রাজশাহীতে কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের পরিবারের মাঝেও ঈদের শুভেচ্ছা স্বরুপ নগদ অর্থ ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী প্রদান করেছিলেন রাজশাহী জেলা এসপি এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার)। শুধু তাই নয়, রাজশাহী জেলা পুলিশে ছুটিপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের সাথে নির্বিঘ্নে ঈদ করার লক্ষ্যে নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাও করে দিয়েছিলেন তিনি।যা রাজশাহী জেলা পুলিশের ইতিহাসে বিরল ঘটনা বৈকী। তাছাড়াও রাজশাহী জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় নিজ দায়িত্বে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য চাল-ডাল,আটা-ময়দা,চিনি-সেমাইসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। তাছাড়া কঠোর লক ডাউনের মাঝেও স্ব-শরীরে ত্রান বিতরন করতে গিয়ে চলতি বছরের ১২ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হন এসপি এবিএম মাসুদ। এ বিষয়ে এসপি স্যার মাননীয় ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ মহোদয় কর্তৃক প্রদত্ত নগদ অর্থ আইজিপি স্যারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ পুলিশ সদস্য পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে মাত্র। পাশাপাশি রাজশাহী জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সবার আন্তরিক প্রচেস্টায় সকলের ঈদের শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করা হয়েছে। এটি আমাদের এসপি স্যারের মহানুভবতা। সকল তথ্যানুসারে এসপি এবিএম মাসুদ হোসেন যে রাজশাহী জেলাতে মানবিক দৃষ্টান্ত রেখেছেন শুধু তাই নয় বরং রাজশাহী জেলা পুলিশকে আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান এবং দূর্নীতিবাজ পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন। উদাহারন স্বরুপ বিগত কয়েক মাসের পরিসংখ্যানে দেখে বলা যেতে পারে – প্রায় ৪ কোটি টাকার হেরোইন আটক করতে সক্ষম হয়েছে রাজশাহী জেলা পুলিশ। এরমধ্যে হেরোইন সম্রাজ্ঞীসহ বড় বড় গড ফাদাররাও রেহাই পায়নি জেলা পুলিশের হাত থেকে। গত ২০২০ সালের ২১শে মার্চ ৫ রাজশাহী গোদাগাড়ী থানা পুলিশ কর্তৃক মাদক ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগ উঠলে তিনি কোন পুলিশ সদস্যর পক্ষ না নিয়ে বরং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করেন।অবশ্য উক্ত ঘটনার সময় তিনি রাজশাহীতে এসপি হিসেবে তখনও নিয়োগপ্রাপ্ত হননি। এরপর কয়েক মাস পর তিনি রাজশাহীতে এসপি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে উক্ত হত্যা মামলার বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করেন। এছাড়া গত ৭ জুলাই ২০২১ ইং তারিখে রাজশাহী আড়ানী পৌরসভার মেয়র মুক্তারের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ, মাদক এবং প্রায় ১ কোটি টাকা আটকের ঘটনা ছিল রাজশাহী জেলা পুলিশের জন্য বিশাল বড় এক চ্যালেঞ্জ। তবুও রাজশাহী জেলা এসপি এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার) এই অভিযানে বিন্দুমাত্র কৃপনতা না দেখিয়ে বরং মেয়র মুক্তারের বাড়ি থেকে ১। একটি ৭.৬৫ অটোমেটিক বিদেশি পিস্তল। ২। ৭.৬৫ পিস্তলের ০৪টি ম্যাগজিন। ৩। ৭.৬৫ পিস্তলের ১৭ রাউন্ড তাজা গুলি। ৪। ৭.৬৫ পিস্তলের ৪টি গুলির খোসা। ৫। একটি ওয়ান শুটার গান। ৬। একটি দেশি তৈরি বন্দুক। ৭। একটি এয়ার রাইফেল। ৮। শটগানের ২৬ রাউন্ড গুলি। ৯। ১০ গ্রাম গাঁজা। ১০। ৭ পুরিয়া হেরোইন। ১১। ২০পিস ইয়াবা। ১২। ১৮ লক্ষ টাকার স্বাক্ষর করা চেক এবং নগদ ৯৪ লক্ষ ৯৮ হাজার টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হন এবং ৭২ ঘন্টার মধ্যে মেয়র মুক্তারকে আদালতে সোপর্দ করেন। এই ঘটনাটিও রাজশাহী জেলা পুলিশের এক অন্যতম অর্জন।উক্ত ঘটনায় এসপি এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার) আমাদের দেখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে দুস্টের দমন আর শিষ্টের পালন করতে হয়। শুধু একটি দুটি ঘটনাই নয়, এমন আরও কাজের উদাহারণ রয়েছে ২৪তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের কর্মকর্তা এবিএম মাসুদ হোসেনের বিপিএম (বার)। এসকল কর্মকান্ডের জন্য ইতিমধ্যে তিনি রাজশাহী জেলায় একজন জনবান্ধব, জনপ্রিয় ও নিষ্ঠাবান পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করেছেন । এদিকে রাজশাহী জেলাতে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত একাধিক ব্যাক্তি বলেন – আমরা এবিএম মাসুদ স্যারের মত একজন মানবিক ও বিবেক সম্পন্ন এসপি পেয়ে আমরা সত্যি গর্বিত।কেননা তার কাছে যেতে লাগেনা কোন অনুমতি কিংবা ফোন দিলেও উনি যে কোন অভিযোগ শোনার পরেই তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহন করতে বিন্দুও কুন্ঠাবোধ করেননা। সামাজিক কর্মকান্ডেও তার জুঁড়ি মেলা ভার।