মোহনপুর থানা পুলিশ কর্তৃক দস্যুতা মামলার তদন্তে প্রাপ্ত ০২ (দুই) জন আসামী গ্রেফতার।
০৩ জুন, ২০২০
মোহনপুর থানাধীন মোঃ আশরাফুল মন্ডল (৪৭), পিতা- মৃত মোসলেম উদ্দিন মন্ডল গ্রাম- বাদেজুল, থানা- মোহনপুর, রাজশাহী এর ছেলে মোঃ ফারুক মন্ডল (২৯) গত ০৮ বছর যাবৎ “পপুলার ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড” ঔষধ কোম্পানীতে সেলসম্যান পদে চাকুরি করে। গত ৩১/০৫/২০২০ খ্রিঃ তারিখে রাত্রী অনুমান ১১:০৫ ঘটিকার সময় ভিকটিম উক্ত কোম্পানীর ঔষধের টাকা আদায় করিয়া রাজশাহী শহর হইতে মোটরসাইকেল যোগে মোহনপুর থানাধীন বরইকুড়ি গ্রামস্থ মোঃ সাইফুল ইসলাম এর ভাড়া বাড়ীর উদ্দেশ্যে আসার পথে একই তারিখ রাত্রী অনুমান ১১:৫০ ঘটিকার সময় মোহনপুর থানাধীন নন্দনহাট গ্রামস্থ বেঙ্গল কোল্ড ষ্টেরেজ এর প্রজেক্টের সামনে রাজশাহী টু নওগাঁগামী মহাসড়কের কালভার্ট এর নিকট পৌঁছা মাত্র অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন ছিনতাইকারীসহ তাদের হাতে থাকা প্লাস্টিকের পানির পাইপ দ্বারা বাধা দিয়ে ভিকটিমের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। তখন ভিকটিম মোটরসাইকেলের গতি থামিয়ে দিলে অজ্ঞাতনামা ছিনতাইকারী তাদের হাতে থাকা লোহার চাকু দ্বারা ভিকটিমকে হত্যার ভয় দেখিয়ে তার নিকট থাকা কোম্পানীর যাবতীয় কাগজপত্রসহ একটি কালো রংয়ের ব্যাগ এবং উক্ত ব্যাগে থাকা কোম্পানীর আদায়কৃত নগদ ২০,০০০/- টাকা, একটি নীল-কালো রংয়ের বাটন মোবাইল সেট জোড়পূর্বকভাবে ছিনিয়ে নেয় এবং তাদের হাতে থাকা লোহার চাকু দ্বারা ভিকটিমের দুই চোয়াল, হাত ও পিঠে চাকু দ্বারা এলোপাথারীভাবে আঘাত করে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। ভিকটিম ডাকচিৎকার করিলে অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন পথচারী আগাইয়া আসিলে অজ্ঞাতনামা ছিনতাইকারী রাস্তার পূর্ব দিকের ধানক্ষেত দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে মোহনপুর থানার মামলা নং- ০২ তারিখ- ০১/০৬/২০২০ খ্রিঃ ধারা- ৩৯৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়। পরবর্তীতে রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোঃ শহিদুল্লাহ বিপিএম, পিপিএম মহোদয়ের নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জনাব সুমন দেব এবং অফিসার ইনচার্জ মোহনপুর থানা মোস্তাক আহম্মেদ এর নেতৃত্বে উক্ত মামলার তদন্তে প্রাপ্ত গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ আল আরাফাত (১৯) পিতা- মোঃ রুবেল সাং- শিরোইল কলোনী থানা- চন্দ্রিমা ২। মোঃ শাকিল আহম্মেদ (১৯) পিতা- মোঃ সিদ্দিক সাং- বায়ার মোড় থানা- এয়ারপোর্ট, উভয় মহানগরী রাজশাহীদ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়। আসামীদ্বয়কে গ্রেফতার করিয়া ১নং আসামীর দেহ তল্লাশি করিয়া তাহার পরিহিত জিন্সের প্যান্টের পিছনের ডান পকেট হইতে রক্তমাখা একটি লোহার টিপ চাকু এবং ২নং আসামীর দেহ তল্লাশি করিয়া তাহার পরিহিত জিন্সের প্যান্টের সামনের ডান পকেট হইতে ভিকটিমের ছিনতাইকৃত একটি নীল-কালো রংয়ের বাটন মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়। আসামীদ্বয়কে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।