বাগমারার সুখেন কুমার হত্যাকান্ড: নেপথ্যে পরকীয়া সম্পর্কের জের ও টাকার লোভ, আসামীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান

২১ এপ্রিল, ২০২০

গত ১৯/০৪/২০২০ ইং তারিখ সকাল অনুমান ছয়টার দিকে রাজশাহীর বাগমারা থানাধীন নয় নম্বর শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের ধামীন কামনগরের এক আমবাগানের মধ্যে একটি আমগাছের নীচে গলায় লাইলনের রশি পেঁচানো অবস্থায় শ্রী সুখেন কুমার সরকার, পিতা : মৃত গোবিন্দচন্দ্র সরকার , সাং ধামিন কামনগর, থানা: বাগমারা, রাজশাহী নামক এক ব্যক্তির মরদেহ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে মৃত ব্যক্তির ভাই বাগমারা থানায় হত্যা সংক্রান্ত নিয়মিত মামলা দায়ের করে। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে পুলিশ সুপার জনাব মো: শহিদুল্লাহ বিপিএম, পিপিএম এর দিকনির্দেশনায় তদন্তকার্যক্রম শুরু করে থানা পুলিশ। তদন্তের এক পর্যায়ে গোপন সূত্রে রাজশাহীর সদর সার্কেল জনাব সুমন দেবের নেতৃত্বে পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত তাহমিনা বেগম(৩৮), পিতা: মো: আনসার আলী, স্বামী : মো: আব্দুস সাত্তার, গ্রাম: ধামিন কামনগর, থানা: বাগমারা, রাজশাহীকে গ্রেফতার করা হয় এবং আজ ২০/০৪/২০২০ তারিখ উক্ত নারী হত্যাকান্ডের বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন। মূলত অবৈধ সম্পর্ক অর্থাৎ পরকীয়া ও টাকার লোভে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। তাহমিনা দুই বছর ধরে সুখেনের বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করে আসছে। এ সময় তাদের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক ছিল। এছাড়া তাহমিনা পলাশ নামক এক ব্যক্তির বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করত এবং তার সাথেও এক পর্যায়ে তাহমিনার অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে। আর এ বিষয়টি নিয়ে সুখেন ও পলাশের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এছাড়া সুখেন পলাশের কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা পেত যা পলাশ দিচ্ছিল না। পলাশ রাতের বেলায় এক আমবাগানে সুখেনকে ডেকে নিয়ে আসার জন্য তাহমিনাকে পাচ হাজার টাকা দেয় এবং কৌশলে ১৯/৪/২০২০ তারিখ রাতের বেলায় তাহমিনাকে দিয়ে সুখেনকে আমবাগানে ডেকে নিয়ে আসে। সুখেন আমবাগানে আসলে সুখেন ও পলাশের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয় এবং একপর্যায়ে পরিকল্পিতভাবে পলাশ ও তাহমিনা সুখেনের গলায় লাইলনের রশি পেঁচিয়ে সুখেনকে হত্যা করে লাশ আমগাছের নীচে ফেলে রেখে নিজ নিজ বাড়ি চলে যায়। তাহমিনাকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।







সর্বশেষ সংবাদ