ডোবার পানি ও কচুরীপানার ভিতরে পড়ে ছিল মিলন, অতঃপর তাকে উদ্ধার করলো মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সহ সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স।
২১ জানুয়ারী, ২০২০
“মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার” সেই স্লোগানের সাথে পুলিশ ও জনতা একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করে যাচ্ছে “বাংলাদেশ পুলিশ”। ২০/০১/২০২০ খ্রিঃ তারিখ বেলা অনুমান ১১:৩০ ঘটিকার সময় জনৈক মোঃ জেকের শাহ মোহনপুর থানাধীন খরখরচা বিলে মোঃ মিলন (৩৬) এর সাথে ঘাস কাটছিল। কিছুক্ষণ পর মোঃ জেকের শাহ মিলনকে বিলের কোথাও দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু করেন। কিন্তু তাকে কোথাও পাওয়া যায় না। পরবর্তীতে মোঃ জেকের শাহ উক্ত তারিখ বেলা অনুমান ১২:০০ ঘটিকার সময় খরখরচা বিলের ২০০ মিটার দূরে ব্র্যাক অফিসে গিয়ে মিলনের ব্যাপারে জানায় এবং তাকে খুঁজতে ব্র্যাক অফিসের কর্মরত লোকদের সাহায্য চাইলে অফিসের কেহ সাহায্য না করে মোঃ জেকের শাহ এর উপর রাগান্বিত হয়ে তাকে সেখান হতে চলে যাইতে বলে। নিরুপায় হয়ে মোঃ জেকের শাহ মিলনকে উদ্ধারের জন্য রাজশাহী হইতে নওগাঁগামী পাকা রাস্তায় উঠে পথচারী জনৈক মোঃ এমাজ উদ্দিনের নিকট ঘটনার বিষয়ে জানাইয়া কান্নাকাটি করিলে জনৈক মোঃ এমাজ উদ্দিন তৎক্ষনাত মোহনপুর থানায় এসে মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাক আহম্মেদকে উক্ত ঘটনার বিষয়ে জানাইলে অফিসার ইনচার্জ সাথে সাথে অফিসার ও ফোর্স নিয়ে খরখরচা বিলে যায় এবং সেখানকার স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় খোঁজাখুজি একপর্যায়ে উক্ত তারিখ বেলা অনুমান ১২:৩০ ঘটিকার সময় ভিকটিম মোঃ মিলন (৩৬) কে ডোবার পানি ও কচুরীপানার ভিতরে পড়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে। তৎক্ষনাত মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাক আহম্মেদ দ্রুত ভিকটিম মিলনকে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে ভিকটিম মিলনের চিকিৎসা অব্যাহত আছে। মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার মোঃ জাহিদ হোসেন বলেন, ভিকটিম মিলন দীর্ঘক্ষণ যাবত ডোবার পানি ও কচুরীপানার ভিতরে পড়ে থাকায় তার হাত, পা ও শরীর অবশ হয়ে গিয়ে নড়াচড়া করতে পারেনি। ভিকটিমকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, কিছু সময় গেলে ভিকটিমের শারিরীক অবস্থা বোঝা যাবে। পরবর্তীতে জানা যায় ভিকটিম সম্পর্কে জনৈক মোঃ এমাজ উদ্দিন নামে যে ব্যক্তি থানায় এসে খবর দিয়েছিল ভিকটিম মিলন তারই ছেলে এবং তার বাড়ী মোহনপুর থানাধীন মহিষকুন্ডি গ্রামে।