বাদীনি/ভিকটিম মোছাঃ গোলাপজান@গোলাপী(৩৮) পিতা-মোঃ গজল, স্বামী-মোঃ মোস্তফা, সাং-আড়াদিঘী পূর্বপাড়া, থানা-তানোর, জেলা-রাজশাহী ইং ২২/১০/২০১৯ তারিখ থানায় হাজির হইয়া বিবাদী ১। মোঃ জালাল উদ্দিন(৪৫) পিতা-মৃত সালেক উদ্দিন, ২। মোঃ রুস্তম আলী(৫০), পিতা-মৃত ইউসুব আলী, উভয় সাং-আড়াদীঘি, ৩। মোঃ সাইদ হোসেন@সাজু(৪০), (সভাপতি তানোর উপজেলা প্রেসক্লাব) পিতা-মৃত দেলজান মোল্লা, সাং-তানোর কলেজের পার্শ্বে, সর্ব থানা-তানোর, জেলা-রাজশাহীগণদের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ করিতেছি যে, ১নং বিবাদী মোঃ জালাল উদ্দিন বাদীনির গ্রাম্য প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে তার সহিত ভালো সম্পর্ক ছিল। বাদীনির স্বামীর অসুস্থতার সুযোগে বিবাদী মোঃ জালাল উদ্দিন প্রায় ০২ বছর পূর্ব হইতে বাদীনিকে বিবাহে প্রলোভন দিয়ে বিভিন্ন সময় দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এমতাবস্থায় গত ইং-১১/১০/২০১৯ তারিখ রোজ শুক্রবার প্রতিদিনের ন্যায় বাদীনি সংসার চালানোর জন্য ভিক্ষাবৃত্তি শেষে বাড়ী আসার পথে রাত্রি অনুমান ০৭.১৫ ঘটিকার সময় তানোর থানাধীন তালন্দ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভূক্ত গোপাল নগর মৌজার মতিকুড়ি ডিপ টিউবিওয়েল ঘরের পার্শ্বে ফাঁকা জায়গায় পৌছিলে ১নং বিবাদী মোঃ জালাল উদ্দিন পিছন দিক থেকে এসে বাদীনিকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করিয়া ঝাপটিয়ে ধরিয়া মাটিতে শুয়াইয়া তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করে। ইং-২১/১০/২০১৯ তারিখ সকাল অনুমান ১০.০০ ঘটিকায় বাদীনিকে তানোর উপজেলা প্রেসক্লাব ঘরে ডাকিয়া ২নং ও ৩নং বিবাদীদ্বয় ১নং বিবাদীর পক্ষ লইয়া বাদীনির হাতে ১৫,০০০/- (পনের হাজার) টাকা দিয়া একটি কাগজে আপোসনামার কথা বলিয়া বাদীনির স্বাক্ষর নেন এবং ২নং ও ৩নং বিবাদীদ্বয় ১নং বিবাদীর অপরাধ সংঘটনকে ধামাচাপা দিতে সহায়তা করে আপোস করিয়া দেয়।
পরবর্তীতে রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোঃ শহিদুল্লাহ বিপিএম, পিপিএম মহোদয়ের নির্দেশনায় তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ খাইরুল ইসলাম ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ রাকিবুল হাসান দ্বয়ের নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স কর্তৃক আসামী ১। মোঃ জালাল উদ্দিন(৪৫) ও আসামী ২। মোঃ রুস্তম আলী(৫০)দ্বয়কে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।