নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম থানাধীন চামটা গ্রামের মৃতঃ লুকাস রোজারিওর ছেলে সুবাস রোজারিও (৪০) গত ২৪/০৯/১৯ ইং তারিখ রাত্রী অনুমান ১১.৩০ ঘটিকার সময় পাবনা জেলার চাটমোহর থানাধীন চাটেমোহর রেল স্টেশন হতে নিখোঁজ হয় । অনেক খোঁজা-খুঁজি করে সুভাস রোজারিও-কে না পাওয়া গেলে তার ভাই লুইস রোজারিও উক্ত বিষয়ের প্রেক্ষিতে গত ০৫/১০/২০১৯ ইং তারিখে বড়াইগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে বড়াইগ্রাম থানার মামলা নং- ০৮, তারিখ ০৫/১০/২০১৯ ইং, ধারা-৩৬৪ পেনাল কোড রুজু করা হয় । মামলা রুজুর পর হতে জনাব লিটন কুমার সাহা, পিপিএম-বার, পুলিশ সুপার, নাটোর এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বড়াইগ্রাম সার্কেল জনাব মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ, মামলার তদন্তকারী অফিসার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাঃ সুমন আলীসহ বড়াইগ্রাম থানার একটি চৌকস দল গত ১৮/১০/২০১৯ ইং তারিখ সময় ১৯:০০ ঘটিকায় কুষ্টিয়া জেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানাধীন হরিনারায়ণপুর গ্রামের শ্মশান হতে সুভাস রোজারিও উদ্ধার করে । উদ্ধারের পর সুভাস রোজারিও @ সুভাস ক্ষ্যাপা বাউল-কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় গত ২৪/০৯/২০১৯ ইং তারিখে নিজ বাড়ি চামটা গ্রাম হতে ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে সিএনজি যোগে চাটমোহর রেল স্টেশনে রওনা করে রাত্রী অনুমান ২৩:৩০ ঘটিকায় চাটমোহর রেল স্টেশনে পৌঁছে । রেল স্টেশনের একটি চা এর দোকানে ০১ কাপ চা ও ০১ টি সিগারেট খায় । যেহেতু সুভাস আগে থেকে গান-বাজনা করতো, রেল স্টেশনের চা এর দোকান হতে ০১ টি আধ্যাত্মিক গান শুনে মনজগতের পরিবর্তন হলে তার মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ সবকিছু চা এর দোকানে রেখে ভাব জগতের চিন্তা থেকে অজানার উদ্দেশ্যে রওনা করে । তাকে কেউ অপহরণ করেনি কিংবা সে নিজেও আত্মগোপন করেনি । শুধুমাত্র যোগ সাধনার উদ্দেশ্যে নিভৃত স্থানে অবস্থানের জন্য তিনি জাগতিক সকলকিছু পরিত্যাগ করে অজানার উদ্দেশ্যে রওনা করেছিলেন । এ সংক্রান্তে অদ্য ১৯/১০/২০১৯ ইং তারিখে সাংবাদিকদের মাঝে প্রেস ব্রিফিং করেন নাটোর জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব লিটন কুমার সাহা, পিপিএম-বার ।