প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল এর মাধ্যমে নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোন হাতিয়ে নেওয়া চক্রের ০২(দুই) সদস্য ডিবি পুলিশ পাবনা কর্তৃক আটকঃ

প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল এর মাধ্যমে নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোন হাতিয়ে নেওয়া চক্রের ০২(দুই) সদস্য ডিবি পুলিশ পাবনা কর্তৃক আটকঃ বাদী মোঃ ইসমাইল হোসেন (৩৩), পিতাঃ মৃতঃ ওয়াজেদ আলী, সাং-পদ্মপুকুর, থানাঃ জিকরগাছা, জেলাঃ যশোর বর্তমান বাংলা ক্লিনিকের গলি, থানাঃ পাবন সদর, জেলাঃ পাবনা। বাদী একজন পাট ব্যবসায়ী। পাবনা সদর থানাধীন পৌরসভার জেট এল প্লাজার নীচ তলায় মুক্ত টেইলার্স এর মালিক মোঃ মুন্না হোসেন এবং তার স্ত্রী মোছাঃ মুক্তা খাতুন এর সাথে বাদীর পরিচয় হয়।পরবর্তীতে আসামী মোছাঃ মুক্তা খাতুন সুপরিকল্পিত ভাবে বাদীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরী করে। সেই সুযোগে পরিকল্পিত ভাবে বাদীর নিকট হতে ৫,০০০/-(পাঁচ হাজার) টাকা ধার নেয়। পরবর্তীতে ধারের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে বাদীকে পাবনা জেলার সদর থানাধীন রাধানগর ময়দানপাড়ায় আসামীদ্বয় তাদের নিজস্ব বাসায় নিয়ে যায়। বাসায় নিয়ে গিয়ে বাদীকে ড্রাইনিং রুমে আটক করে মোঃ মুন্না হোসেন এবং মোছাঃ মুক্তা খাতুন সহ তাদের ২/৩ জন সহযোগীদের দ্বারা জোরপূর্বক বাদীকে নগ্ন করে ছবি তুলে ও বাদীকে কিল ঘুষি, চড় থাপ্পর, লাথি, কাঠের বাটাম দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারিভাবে মারধর করে। আসামীরা বাদীকে প্রাণে মেরে ফেলার এবং বাদীর নগ্ন ছবি ভাইরাল করার ভয়ভীতি দেখিয়ে বাদীর নিকট থাকা নগদ ৫০,০০০/-(পঞ্চাশ হাজার) টাকা এবং বিকাশের মাধ্যমে আরো ৭৩,০০০/- টাকা মোট ১,২৩,০০০/-(এক লক্ষ তেইশ হাজার) টাকা সহ বাদীর ব্যবহৃত VIVO X60Pro+ মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে ইং ১৩/০৪/২০২৩ তারিখ ১নং আসামী মোঃ মুন্না বাদীকে ফোন করে বলে তুই যদি আমাকে আরো ২০,০০০/-(বিশ হাজার) টাকা না দিস তাহলে আমি তোর নগ্ন ছবি ভাইরাল করব এবং তোর মোবাইল ফোনও ফেরত দিবোনা। এরই পরিপেক্ষিতে বাদী ডিবি অফিসে আসিয়া মৌখিকভাবে অভিযোগ জানালে ওসি ডিবি জনাব মোঃ এমরান মাহমুদ তুহিন তাৎক্ষণিক পাবনা জেলার মাননীয় পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আকবর আলী মুনসী মহোদয়কে অবগত করিয়া জেলা গোয়েন্দা শাখা,পাবনার এসআই(নিরস্ত্র) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এর নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম মাননীয় পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আকবর আলী মুনসী মহোদয়ের নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) জনাব মোঃ মাসুদ আলম এর দেওয়া তথ্য ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় ও তত্ত্বাধায়নে ঘটনার সত্যতা যাচাই ও আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ মুন্না হোসেন (৩৪), পিতাঃ মোঃ মোশারফ শেখ, সাং-রাধানগর(ময়দানপাড়া) থানাঃ পাবনা সদর, জেলাঃ পাবনা, ২। মোছাঃ মুক্তা খাতুন (২৫), পিতাঃ মোঃ মোক্তার হোসেন, স্বামীঃ মোঃ মুন্না হোসেন, সাং-রাধানগর(ময়দানপাড়া) থানাঃ পাবনা সদর, জেলাঃ পাবনাদ্বয়কে আটক করে এবং ভিকটিম এর নিকট থেকে নেওয়া টাকার মধ্যে হইতে ৫,০০০/-(পাঁচ হাজার) টাকা এবং ভিকটিমের নিকট হইতে ছিনিয়ে নেওয়া VIVO X60Pro+ মোবাইল ফোন ও বাদীর নগ্ন ছবি ধারনকৃত মোবাইল ফোন তাৎক্ষণিক ভাবে উদ্ধার করে। উক্ত বিষয়ে পাবনা সদর থানায় মামলা নং-৩৭ তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০২৩ ইং ধারা-৮(১)/৮(২) পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইন ২০১২ রুজু হয়েছে। ধৃত আসামী মোছাঃ মুক্তা খাতুন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে ব্যবসায়ীদের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে সুপরিকল্পিত ভাবে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। পরবর্তীতে তাদের সাথে দেখা করার জন্য বাসায় ডেকে নিয়ে এসে তার স্বামী সহ অন্যান্য সহয়োগীদের সহায়তায় ব্যবসায়ীদের আটক করে তার সাথে জোরপূর্বক নগ্ন ছবি ধারন করে ব্লাকমেইল করে এবং ব্যবসায়ীদের নিকট থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে ভিকটিমদের নগ্ন ছবি প্রকাশ করার ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের আত্বীয়স্বজনদের নিকট হতে বিকাশের মাধ্যমে আরো টাকা হাতিয়ে নিয়ে থাকে। এমন ঘটনা আসামীরা ইতিপূর্বেও ঘটিয়েছে মর্মে জানা যাচ্ছে।আসামীদের পুলিশ রিমান্ডে পাইলে ঘটনা সংক্রান্ত্রে আরো বিস্তারিত জানা যাবে। উ উদ্ধারকৃত মালামালের বর্নণাঃ ১. নগদ ৫,০০০/-(পাঁচ হাজার) টাকা। ২.ভিকটিমের নিকট হইতে ছিনিয়ে নেওয়া VIVO X60Pro+ মোবাইল ফোন। ৩.বাদীর নগ্ন ছবি ধারনকৃত মোবাইল ফোন।







সর্বশেষ সংবাদ
DIG Homepage