প্রেস ব্রিফিং চাঞ্চল্যকর স্কুল ছাত্র কৌশিক হত্যার রহস্য উদঘাটন, হত্যা মামলায় ঘটনায় আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশু গ্রেফতার ও তার দেখানো মতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত মেহগনী গাছের লাঠি ও ভিকটিমের ব্যবহৃত জুতা উদ্ধার। আতাইকুলা থানার মামলা নং-০৮, তাং- ২১/১১/২০২১ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/২০১/৩৭৯/৩৪ পেনাল কোড। মামলার বাদী মোছাঃ জাহানারা খাতুন (৪০) স্বামী-মোঃ হারুন অর রশিদ সাং-গাঙ্গহাটি নতুনপাড়া, থানা-আতাইকুলা,জেলা-পাবনা থানায় হাজির হয়ে লিখিত ভাবে জানান যে, তার বড় ছেলে তৌহিদ আহম্মেদ @ কৌশিক (১৪) মিয়াপুর হাজী জসিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে সপ্তম শ্রেনীতে পড়াশুনা করত। বাদীর ছেলে প্রতিবেশী গ্রামের তার দুই বন্ধু যাদেপ বাগী বামনডাঙ্গা উত্তরপাড়া, থানা-আতাইকুলা,জেলা-পাবনাদ্বয়ের সাথে চলাফেরা করত। গত দুইদিন বাদীর ছেলে তার উক্ত দুইবন্ধুর সাথে ঘোরাফেরা করার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় এবং ঘোরাফেরা শেষে বাড়িতে ফিরে আসে। ইং ২০/১১/২০২১ তারিখ সকাল অনুমান ০৮:০০ ঘটিকার সময় বাদীর ছেলে তৌহিদ আহম্মেদ @ কৌশিক বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় বাদী তার ছেলেকে জিজ্ঞাসা করে কোথায় যাবে ? তখন বাদীর ছেলে বলে যে,তার বন্ধু দুইজন তাকে ডেকেছে, সে তাদের সাথে বাহিরে ঘুরতে যাবে বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। একই তারিখ দুপুরে তৌহিদ আহম্মেদ @ কৌশিক বাড়িতে খাওয়ার জন্য না আসলে বাদী তার ছেলে তৌহিদ আহম্মেদ @ কৌশিক এর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর এ ফোন করে ফোনটি বন্ধ পায়। পরবর্তীতে বাদী তার দেবর,ভাসুর সহ তার ছেলেকে খোঁজাখুজি করতে থাকে। ইং ২০/১১/২০২১ তারিখ বিকাল অনুমান ০৪:৩০ ঘটিকার সময় বামনডাঙ্গা চক (মাঠ) থেকে কাজ করে আসা কৃষকদের মাধ্যমে বাদী জানতে পারে যে, আতাইকুলা থানাধীন বামনডাঙ্গা গ্রামস্থ জনৈক মোঃ মজনু গংদের পারিবারিক কবরস্থানের উত্তর পার্শ্বে একটি মৃতদেহ পড়ে আছে। তাৎক্ষনিক ভাবে বাদী,তার ভাসুর,দেবর সহ ঘটনাস্থলে বিকাল অনুমান ০৫:০০ ঘটিকায় উপস্থিত হয়ে মৃতদেহ দেখে তার ছেলে তৌহিদ আহম্মেদ @ কৌশিক এর মৃতদেহ সনাক্ত করে। বাদীর ছেলে তৌহিদ আহম্মেদ @ কৌশিক এর মুখমন্ডল রক্তাক্ত সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে আঘাত দেখতে পায়। অজ্ঞাতনামা দূষ্কৃতিকারীরা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ইং ২০/১১/২০২১ তারিখ সকাল অনুমান ০৮:০০ ঘটিকা হতে বিকাল অনুমান ০৪:৩০ ঘটিকার মধ্যে যেকোন সময় বাদীর ছেলে তৌহিদ আহম্মেদ @ কৌশিককে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে বাদীর ছেলে তৌহিদ আহম্মেদ @ কৌশিক এর মৃতদেহ আতাইকুলা থানাধীন বামনডাঙ্গা গ্রামস্থ জনৈক মোঃ মজনু গংদের পারিবারিক কবরস্থানের উত্তর পার্শ্বে জঙ্গলের মধ্যে ঘাস দিয়ে ঢেকে রেখে বাদীর ছেলের ব্যবহৃত একটি ঝধসংঁহম উঁড়ং মোবাইল ফোন, মূূল্য অনুমান ৮,০০০/- (আট হাজার) টাকা অসৎ উদ্দেশ্যে নিয়ে পালিয়ে যায়। সংক্রান্তে আতাইকুলা থানার মামলা নং-০৮,তাং-২১/১১/২১খ্রিঃ, ধারা-৩০২/২০১/৩৭৯/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়। পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান, বিপিএম মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় ও প্রত্যক্ষ তত্তাবধানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) জনাব মোঃ মাসুদ আলম এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জনাব মোঃ রোকনুজ্জামান সরকার, আতাইকুলা থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন এর প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আমিনুল ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী এসআই(নিঃ) মোঃ আব্দুল্লাহ আল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ সাঁথিয়া থানাধীন দাতালপুর গ্রামে হাকিম বেপারীর বাড়ি হইতে আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুকে ( ১৪ বছর বয়সী শিশু বিধায় নাম ঠিকানা দেয়া হলনা) সাং-বামনডাঙ্গা উত্তরপাড়া, থানা-আতাইকুলা,জেলা-পাবনাকে গ্রেফতার করে স্বীকারোক্তিতে ও তার দেখানো মতে হত্যাকান্ড ব্যবহৃত মেহগনী গাছের লাঠি ও ভিকটিমের ব্যবহৃত জুতা উদ্ধার করা হয়। উক্ত শিশু বিজ্ঞ আদালতে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে নিজেকে জড়িয়ে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। উদ্ধারকৃত মালামালের বর্ণনাঃ ১। একটি মেহগনী গাছের লাঠি। ২। ভিকটিমের ব্যবহৃত একজোড়া জুতা।