গত ইং-১৭/০৯/২০১৯ তারিখ সকাল অনুমান ০৭.০০ ঘটিকার সময় উদ্দীপন এনজিও কর্মী এসএম শাহরিয়ার উদ্দীপন অফিস কর্তৃক প্রদত্ত অফিসিয়াল ব্যাগে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও তাহার ব্যবহৃত লাল রংয়ের HONDA CD 80cc মোটরসাইকেল সহ কাহালু উদ্দীপন অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পরবর্তীতে তাহার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং তিনি বাসায়/অফিসে ফিরিয়া না আসিলে মোঃ শহিদুল ইসলাম, শাখা ব্যবস্থাপক, উদ্দীপন কাহালু শাখা, বগুড়া ঘটনার বিবরণ দিয়া কাহালু থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। উক্ত ডায়েরির প্রেক্ষিতে কাহালু থানা পুলিশ তাহাকে উদ্ধারের জন্য ব্যাপক তথ্যানুন্ধান এবং অভিযান শুরু করে। গত ইং-১৯/০৯/২০১৯ তারিখ বিকাল অনুমান ০৪.১৫ ঘটিকার সময় কাহালু থানাধীন কাহালু সদর ইউনিয়নস্থ দামাই সাকিনের মিলু হাজীর বাড়ীতে লাশ পাওয়া গিয়াছে মর্মে সংবাদের প্রেক্ষিতে কাহালু থানা, পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইয়া মিলু হাজীর উক্ত বাড়ীর পূর্ব দূয়ারী দক্ষিণ পার্শ্বের ঘর হইতে বিভিন্ন প্লাস্টিকের ও চটের বস্তা এবং কাপড় দ্বারা উদ্দীপন এনজিও কর্মী এসএম শাহরিয়ার মৃতদেহ ঢাকা অবস্থায় উদ্ধার করে। ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হইয়া তাহার স্বামী এসএম শাহরিয়ারকে হত্যা ও তাহার মৃতদেহ গুম করার অভিযোগ আনিয়া এজাহারনামীয় ০৫ (পাঁচ) জন সহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তৎপ্রেক্ষিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদ হাসান, ইন্সপেক্টর (তদন্ত), কাহালু থানা, বগুড়া সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স সহ মামলার প্রধান আসামী মোঃ রাজু আহম্মেদ (২৫), পিতা- মোঃ আমজাদ হোসেন @ ওসমান সহ অপর আসামী ২. মোঃ আমজাদ হোসেন@ ওসমান (৫২), পিতা- মৃত মছির উদ্দিন, ৩. মোছাঃ মর্জিনা বেগম (৪৫), স্বামী- মোঃ আমজাদ হোসেন @ ওসমান, ৪. মোছাঃ নাজমা বেগম (২৩), স্বামী- মোঃ রাজু আহম্মেদ, সকলের স্থায়ী ঠিকানা ; গ্রাম- এরুলিয়া বানদিঘী, উপজেলা/ থানা- বগুড়া সদর, বগুড়া, বর্তমান; গ্রাম- দামাই, উপজেলা/থানা- কাহালু, বগুড়া, সর্বমোট ০৪ (চার) জনকে বরিশাল জেলার মুলাদী থানা পুলিশের সহায়তায় সংশ্লিষ্ট থানা এলাকার দূর্গম এলাকা হইতে গ্রেফতার করা হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে মামলার প্রধান আসামী মোঃ রাজু আহম্মেদ সহ অন্যান্য আসামীরা জানায় টাকা ও মোটরসাইকেল ছিনাতাইয়ের উদ্দেশ্যে মামলার প্রধান আসামী সহ তাহার সহযোগী এজাহারনামীয়, অজ্ঞাত আসামীগণ পূর্ব পূরিকল্পিতভাবে ইং-১৭/০৯/২০১৯ তারিখ দুপুর ০২.১০ ঘটিকার অব্যবহিত পর মামলার ভিকটিম উদ্দীপন এনজিও কর্মী এসএম শাহরিয়ার এর ঋণ আদায়ের উত্তোলনকৃত অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে তাহাকে কৌশলে উল্লেখিত বাড়ীতে ডেকে নিয়ে ভিকটিমের মাথায় ভারী বস্তু(শীল) দ্বারা একাধিকবার আঘাত করিয়া মাথা থেতলিয়ে ও পরে শ্বাসরোধ করিয়া মৃত্যু নিশ্চিত করিয়া টাকা ও মোটরসাইকেল হাতিয়ে নেয় এবং ভিকটিম এসএম শাহরিয়ার এর লাশ আসামীদের ভাড়া বাড়ীর পূর্ব দূয়ারী দক্ষিণ পার্শ্বের ঘরে বিভিন্ন প্লাস্টিকের ও চটের বস্তা এবং কাপড় দ্বারা গুম করে রাখে। ঘটনার পর হইতে পুলিশী অভিযানের প্রেক্ষিতে লাশ উদ্ধার এবং গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামী মোঃ রাজু আহম্মেদ সহ এজাহারনামীয় ০৪ (জন) কে গ্রেফতার এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আলামত, লুন্ঠিত ভিকটিমের ব্যাগ এবং ব্যাগে থাকা লুন্ঠিত অর্থের মধ্যে ২১,৭০০/- (একুশ হাজার সাতশত) টাকা ও ভিকটিমের ব্যবহৃত একটি কালো রংয়ের Nokia ব্যান্ডের বাটনওয়ালা মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হইয়াছে । মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া সহ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামীদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রাখা হইয়াছে।