বাংলাদেশ পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি), রাজশাহী রেঞ্জ জনাব এ কে এম হাফিজ আক্তার, বিপিএম (বার) মহোদয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে মহানবমীতে ০৭ অক্টোবর ২০১৯, সোমবার সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ‘কানসাট বাজার সার্বজনীন দুর্গামন্দির’, ‘নতুন আলিডাঙ্গা সার্বজনীন দুর্গামন্দির’, ‘চরজোতপ্রতাব দুর্গামাতা ঠাকুরাণী মন্দির’ ও ‘বাইশপুতুল দুর্গামন্দির’ পরিদর্শন করেন।
পূজামন্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আবহমানকাল ধরে একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়েই অর্জিত হয়েছিল আমাদের মহান স্বাধীনতা। বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি পৃথিবীতে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। শারদীয় দুর্গাপূজার মধ্য দিয়ে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস বাংলাদেশকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এক উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ধর্মীয় সৌহার্দ্য এবং সম্প্রীতি রক্ষায় নিরলসভাবে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ। যেকোন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশ বদ্ধ পরিকর। তিনি আরো বলেন, রাজশাহী রেঞ্জাধীন প্রতিটি পূজামন্ডপকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা বলয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে দুর্গোৎসব সম্পন্ন করতে পুলিশের প্রতিটি ইউনিটের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সকলের আন্তরিকতায় নির্বিঘ্নে এবং আনন্দ-উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভ পরিসমাপ্তি হবে বলে তিনি সুদৃঢ় প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। এ সময় তিনি পূজা উদযাপন কমিটি ও পূজামন্ডপে আগত পূর্ণ্যার্থীদের সাথে কথা বলেন এবং শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
পূজামন্ডপ পরিদর্শনকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার জনাব টি এম মোজাহিদুল ইসলাম, বিপিএম পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) জনাব মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম খাঁন, পিপিএমসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ ডিআইজি মহোদয়ের সাথে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে তিনি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পরিদর্শন এবং ছোট সোনা মসজিদ প্রাঙ্গণে শায়িত বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর নাজমুল হকের কবর জিয়ারত করেন।