চট্টগ্রাম জেলানিবাসী মোহাম্মদ মহিউদ্দিন (২৮) প্রায় ১০/১২ বছর যাবত দুবাইতে থাকেন। করোনা অতিমারী শুরু হওয়ার পরে তার বোনের বিয়ের আলাপ-আলোচনা শুরু হয় এবং বিয়ের দিন তারিখ ঠিক হয়। কিন্তু বাংলাদেশে লকডাউন পরিস্থিতি ও পারিপার্শ্বিক কারণে তার বাড়িতে আসা অনিশ্চিত হয়ে যায়। অন্যদিকে, দুবাইতে একসাথে কাজ করা ও পাশাপাশি বসবাসের কারণে নওগাঁ জেলার সদর থানাধীন মোহাম্মদ বক্কর সিদ্দিক সোহাগ এর সাথে মহিউদ্দিনের ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। মহিউদ্দিন জানতে পারে যে সোহাগ কিছুদিনের মধ্যে ছুটিতে বাংলাদেশে যাবে। সেই সুবাদে মহিউদ্দিন তার বোনের বিয়ের জন্যে তিলতিল করে গচ্ছিত (১)০২টি স্বর্ণের বার, যার ওজন ২৩৩.০৫গ্রাম (২০ ভরি) মুল্য অনুমান ১১,৯৪,৭২০/- (২)একটি ল্যাপটপ (অ্যাপেল কোম্পানির) যার মূল্য ০১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা (৩) একটি আইফোন 12pro,যার মূল্য - ০১ লক্ষ ১২ হাজার টাকা, এছাড়াও আরো ০৯ ভরি স্বর্ণ, গলার চেইন, টিকলি, দুইটি ডাভ সাবান, ১০ প্যাকেট বেনসন সিগারেট, দুই প্যাকেট চকলেট সোহাগ এর মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রেরণ করেন। কথা ছিল সোহাগ ১১/০৭/২০২১খ্রি. শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসার পর মালামালগুলো মহিউদ্দিনের ভাই বা নিকট আত্মীয়কে বুঝিয়ে দিবে। কিন্তু সোহাগ লোভের বশবর্তী হয়ে বন্ধু মহিউদ্দিনের আমানত সঠিকভাবে পৌঁছে না দিয়ে প্রতারণামুলক নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। এবং মহিউদ্দিনের সাথে সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। মালামাল না পেয়ে মহিউদ্দিনের ফুফাতো ভাই লোকজনসহ সোহাগের বাড়ি নওগাঁতে আসলেও তাকে খুঁজে পায়না। তার বাবা-মা, আত্নীয় স্বজন কেউ তার খোঁজ দিতে না পারলে বাধ্য হয়ে তারা গত ১৯/০৭/২০২১ খ্রি. নওগাঁ সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি নওগাঁ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার প্রকৌশলী জনাব আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম মহোদয়কে অবগত করা হলে পুলিশ সুপার মহোদয় দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অফিসার ইন চার্জকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। ওসি, নওগাঁ সদর মডেল থানা জনাব নজরুল ইসলাম জুয়েলের তত্বাবধানে তদন্তকারী অফিসার (আইও) এসআই মো হানিফ উদ্দিন মন্ডল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তদন্তপূর্বক বিষয়টি নিশ্চিত হন এবং সোহাগ এর বাড়ি তল্লাশি করে আসামি সোহাগকে আটক করেন। তার দেয়া তথ্যমতে বাড়ি তল্লাশি করে উপরিউক্ত মালামালসমূহ উদ্ধার করা হয়।আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। আর এভাবেই টিম নওগাঁ প্রবাসী ভাইয়ের নিজ বোনের বিয়ের জন্য গচ্ছিত অলংকারাদি উদ্ধারপূর্বক ফেরত প্রদান করে এবং আসামীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসে।