বগুড়া জেলার সোনাতলা থানায় দীর্ঘ দুই বছর পর একটি ক্লুলেস হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন সহ ০৫ জন আসামী গ্রেফতার

২০১৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বগুড়ার সোনাতলা উপজেলর নগরপাড়া মহিশাপাড়া গ্রামে একটি কালভাটের নিচ থেকে অজ্ঞাত যুবকের বস্তাবন্দি ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর লাশের কোনো পরিচয় না পেয়ে পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ে করে। পরে লাশের ছবি বিভিন্ন পত্রিকা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করার পর যুবকের বাবা বগুড়া সদরের ঠনঠনিয়া পশ্চিমপাড়ার হযরত আলী থানায় গিয়ে লাশটি শনাক্ত করেন। পরে মর্গেও হিমাগার থেকে তাকে লাশ বুঝিয়ে দেয়া হয়। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী অফিসার মোঃ জাহিদ হোসে দীর্ঘ দুই বছর হত্যাকান্ডে এক বন্ধুকে খুন করে খুনি পালিয়ে যশোর জেলায় গিয়ে গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর নিজেকে নিরাপদ মনে করে। এরপর যশোরেই একটি মেয়ের সাথে প্রেম করে বিয়ে করে সে। খুনী ভেবেই নিয়েছিল তার এই অপকর্ম কখনো প্রকাশ হবে না। এই কিলিং মিশনে থাকা আরো ৪ জনও একই ভাবনায় দিন পার করছিল। কিন্তু বগুড়া জেলার মাননীয় পুলিশ সুপার মোঃ আশরাফ আলী ভূঞা, বিপিএম (বার), সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ কুদরত-ই-খুদা শুভ, শিবগঞ্জ সার্কেল, বগুড়ােদের দিক নির্দেশনায় ও নিবির তদন্ত কার্যক্রমে মামলার তদন্তকারী অফিসার মোঃ জাহিদ হোসেন মূল খুনিসহ একে একে ১। মোঃ রাজিব হোসেন @ রাজু (২৮), পিতা-মোঃ আব্দুর রউফ, সাং-ঠনঠনিয়া (পশ্চিম পাড়া), থানা-বগুড়া সদর, জেলা-বগুড়া, ২। শ্রী সঞ্জয় কুমার মন্ডল (৪০), পিতা-মৃত রামনাথ মন্ডল, সাং-লক্ষীনারায়ন পাড়া, থানা-সোনাতলা, জেলা-বগুড়া, ৩। মোঃ বেলাল হোসেন (২৮), ৪। মোঃ হাসান আলী (২৫) উভয় পিতা-মোঃ রমজান আলী, ৫। মোঃ আব্দুর রহমান @ শুটকু (২৮), পিতা-মোঃ আব্দুস সামাদ, সর্ব সাং-খান্দার চারতলা, থানা-বগুড়া সদর, জেলা-বগুড়াদেরকে গ্রেপ্তার করা হয় কিলিং মিশনের ৫ জনকে। এ ঘটনায় প্রধান হত্যাকারী রাজিব হোসেনকে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানের জন্য আদালতে প্রেরণ করা হলে সোনাতলার আমলী আদালতের বিচারক মোমিন হাসান তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এ ছাড়া অন্য চার আসামিকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।







সর্বশেষ সংবাদ
DIG Homepage