অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ আতাউর রহমান স্যারের দিকনির্দেশনায় শাহজাদপুর থানার অফিসার ও ফোর্সগণ বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রান্তে সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকার আহ্বানের নিমিত্তে অত্র থানাধীন ১০নং কৈজুরী এলাকায় টহল ডিউটি করাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানিতে পারেন যে, শাহজাদপুর থানাধীন গোপালপুর গ্রামস্থ জনৈক মোঃ আঃ রাজ্জাকের বাড়ীর উঠানে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী কর্তৃক হত দরিদ্রদের মাঝে কার্ডের মাধ্যমে কার্ডধারীদের ন্যায্যমূল্যের প্রতি কেজি ১০ (দশ) টাকা দরে ডিলারের মাধ্যমে বিক্রয়ের জন্য প্রদানকৃত খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর চাউল নির্ধারিত কার্ডধারী হত দরিদ্রদের মাঝে বিক্রয় না করিয়া অসৎ উদ্দেশ্যে অধিক লাভের আশায় কালোবাজারীর মাধ্যমে কার্ডধারী ব্যতিত লোকজনদের নিকট বেশি মূল্যে বিক্রয় করিতেছে। উক্ত সংবাদ প্রাপ্তির পর এসআই(নিঃ) মোঃ আসাদুর রহমান সঙ্গীয় এসআই (নিঃ) জয়ন্ত চন্দ্র বর্মন কং/৪৮৯ মোঃ আমিনুল হক, কং/৮৭৪ মিন্টু কুমারসহ সকলেই শাহজাদপুর থানা, সিরাজগঞ্জগণ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইলে ১। মোঃ আলাউদ্দিন (৪৮) (সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত ডিলার) পিতা-মোঃ মোকছেদ প্রামানিক, সাং-গোপালপুর, থানা-শাহজাদপুর, জেলা-সিরাজগঞ্জ পুলিশের উপস্থিতি বুঝিতে পারিয়া পলায়ন করেন। এরপর জনাব মোঃ ইয়াছিন আলী, পিতা-মৃত জালাল উদ্দিন মন্ডল, সাং-ফুলবাড়ী, ইউপি-ওয়ালিয়া, থানা-লালপুর, জেলা-নাটোর বর্তমানে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জকে সংবাদ দিলে তিনি ঘটনাস্থলে আসিয়া উল্লেখিত ত্রানের চাউল শনাক্ত করেন এবং ইং ১৯/০৪/২০২০ তারিখ ১৯.২৫ ঘটিকার সময় চাউলগুলো জব্দ করা হয়। ইতোমধ্যে স্থানীয় লোকজন উক্ত আসামীকে আটক করিয়া পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। ধৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত জব্দ তালিকায় বর্নিত ০৬ (ছয়) টি সাদা প্লাষ্টিকের বস্তায় রক্ষিত সর্বমোট ৩৫৭ (তিনশত সাতান্ন) কেজি চাউলসহ এসআই(নিঃ) মোঃ আসাদুর রহমান বাদী হইয়া এজাহার দায়ের করিলে অফিসার ইনচার্জ মহোদয় উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে শাহজাদপুর থানার মামলা নং-১৮, তারিখ-১৯/০৪/২০, ধারা-১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(১) রুজু পূর্বক অন্যান্য আইনী প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতঃ উক্ত আসামীকে অদ্য ইং ২০-০৪-২০ তারিখে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেন। মামলাটি বর্তমানে শাহজাদপুর থানায় তদন্তাধীন আছে।