"পারিবারিক কলহের কারনে মা কর্তৃক ০৬ বছরের শিশু কন্যাকে গলা টিপে হত্যা রহস্যের উদঘাটন করলো টিম নওগাঁ" তামান্না পারভিন, ২০১২ সাল যখন তার বয়স ১৫ ছুঁই ছুঁই তখন তার বিবাহ হয় মোঃ সিরাজুল ইসলাম নামক সৌদি প্রবাসী এক ব্যক্তির সাথে। বিয়ের এক বছরের মাথায় জন্ম হয় এক কন্যা সন্তানের। কিছুদিনের মধ্যেই সিরাজুল ইসলাম তামান্নার অমতে পুনরায় সৌদি আরবে চলে যায়। যখন তামান্নার খেলার বয়স তখন সে এক কন্যা সন্তানের মা! স্বামী থাকে বিদেশে। এভাবে জীবনে চলতে গিয়ে তার জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা চলে আসে।বাবার বাড়িতে থাকলে বাবা মায়ের অনাদর অন্যদিকে শ্বশুর বাড়িতে থাকলে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের অসহযোগিতায় সে ভিতরে ভিতরে ভেংগে পরে। কষ্টের কথা কাউকে শেয়ার করতে না পেরে এক ভয়ংকর সিদ্ধান্ত নেয়। সে সকলের আদরের সুমাইয়া আক্তার(৬) কে হত্যা করে তার পরিবারের সকল সদস্যকে কষ্ট দেয়ার পরিকল্পনা করে। গত ২৭/৩/২০ খ্রিঃ তাং রাতে খাওয়া শেষে মেয়ে সুমাইয়াকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে! রাত ০১.০০ টার দিকে নিজ হাতে গলা টিপে তামান্না তার নিজ কন্যা সুমাইয়াকে নৃশংসভাবে হত্যা করে! হত্যার পরে তামান্না বাড়ি হতে পালিয়ে যায়। গত ২৮/০৩/২০২০ খ্রিঃ সুমাইয়ার চাচা বাদী হয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানায় মামলা করলে নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশ ঐদিনই তামান্নাকে ধামইরহাট হতে গ্রেফতার করে।