বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানে বৃহস্পতিবার রাতে শহরের চারমাথা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ২’শ পিচ ইয়াবাসহ একাধিক বিচারাধীন মামলার চিহ্নিত ৪ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বগুড়া জেলা গোয়েন্দা শাখার এস.আই ফয়সাল হাসানের নেতৃত্বে ডিবির এস.আই মোহাম্মদ নাসিম উদ্দিন, এএসআই খলিলুর রহমানসহ সঙ্গীয় ফোর্সের অভিযানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদরের চারমাথা বাসস্ট্যান্ড শ্রমিক অফিসের সামনে বিক্রির জন্য অবস্থানরত থাকা অবস্থায় চিহ্নিত ঐ ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে হাতেনাতে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে ডিবির ঐ টিম।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা বসন্তের পাড়া এলাকার মৃত: রইচ উদ্দিনের ছেলে আলম মিয়া (৩৪), একই জেলার মোস্তফাপুর এলাকার আনিসুর রহমানের ছেলে আ: আহাদ ওরফে লিমন (২৮) ও আব্দুল হামিদের ছেলে মাহাফেল মিয়া (২৬) এবং পলাশবাড়ি উপজেলার মুরারীপুর এলাকার নওশা মিয়ার ছেলে শাহাদুল ইসলাম (২৮)।
অভিযানের নেতৃত্বে থাকা ডিবির এস.আই ফয়সাল হাসান জানান, মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে কয়েকজন অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে অভিযান চালালে আসামীরা পালানোর চেষ্টা করে। পরে সাক্ষীগণের উপস্থিতিতে সন্দেহজনকভাবে তাদের তল্লাশি করলে এজাহারের ১নং আসামী আলম মিয়ার পরিহিত লুঙ্গির ভিতরে লুকানো অবস্থায় রাখা ৪’শ পিচ, ২নং আসামী আ: আহাদ ওরফে লিমনের পরিহিত প্যান্টের ডান পকেট হতে ২ টি প্যাকেটে ১ হাজার পিচ, ৩নং আসামী মাহাফেল মিয়ার হেফাজত হতে ৫’শ পিচ এবং ৪নং আসামী শাহাদুল ইসলামের কাছ থেকে ৩’শ পিচ সর্বমোট ২ হাজার ২’শ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি আছলাম আলী পিপিএম জানান, গ্রেফতারকৃতদের প্রত্যেকে চিহ্নিত আসামী যাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে যা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন। তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বগুড়া সদর থানায় ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) টেবিলের ১০ (খ) ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
বগুড়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সনাতন চক্রবর্তী চলমান মাদকবিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে জানান, জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম বার এর নেতৃত্বে বগুড়াকে শতভাগ মাদকমুক্ত না করা পর্যন্ত জেলা পুলিশের প্রতিটি ইউনিটের এই অভিযান চলমান থাকবে। সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অনেকে ছোট ছোট চালানের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য এই শহরে ঢোকানোর চেষ্টা করছে যা জেলা পুলিশের পক্ষে শক্ত হাতে রুখে দেয়া হচ্ছে এবং হবে। মাদকের সাথে যুক্ত কেউ যতই ক্ষমতাশালী হোক না কেন আইনের হাত থেকে শেষ রেহাই হবেনা মর্মে তিনি হুশিয়ারি দেন।