প্রেম করে বিয়ে করার ১২ দিনের মাথায় স্ত্রীকে জবাই করে হত্যা করেন স্বামী। গত ০৩ সেপ্টেম্বর বিকাল ০৫:০০ ঘটিকায় বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানার শাকপালা দিঘীরপাড় গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
বগুড়া সদর উপজেলার কদিমপাড়া গ্রামের মৃত দৌলত জামানের ছেলে মোঃ শাহীন আলম@সুমন (৩৪), গত ইং ২২ আগস্ট দুপচাচিয়া উপজেলার পোথাট্টি গ্রামের মৃত সাবাজ সাকিদারের কণ্যা নুরজাহান (৪৩) কে ভালোবেসে বিবাহ করেন।বিবাহের পর নুরজাহানকে নিয়ে তার স্বামী শাকপালা দিঘীরপাড় এলাকায় জনৈক আঃ সাত্তার এর ভাড়া বাড়ীতে ওঠে। শাহীন আলম বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওযার্ড বয় হিসাবে চাকুরি করেন। অপর দিকে নুরজাহান মেডিকেলের পিছনে অবস্থিত হাসান জুট মিলে কাজ করে। একদিন নুর জাহান রোগী নিয়ে মেডিকেলে গেলে তার সাথে পরিচয় হয়। অতপর প্রেমের সর্ম্পক এবং বিয়ে। নুরজাহানের এটি তৃতীয় স্বামী এবং নুরজাহান শাহীন আলমের দ্বিতীয় স্ত্রী।
বিয়ের পর থেকে সাংসারিক কিছু বিষয় এবং মোবাইল ফোনে নুরজাহানের অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির সাথে কথা বলা নিয়ে মনমালিন্য সৃষ্টি হয়।এই আক্রশে শাহীন আলম গত ০৩সেপ্টেম্বর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বেলা ১২:০০ ঘটিকার দিকে স্ত্রী নুরজাহানকে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে মেডিকেলে ডাকে। সেখানে তাকে কোকা কোলার সাথে ১০ টি মায়ালাম ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে খাওয়ায়। এতে নুরজাহান অচেতন হইয়া যায়। তাহাকে সিএনজি যোগে ভাড়া বাড়ীতে নিয়ে আসে। পরে দুপুর ০৩:০০ ঘটিকার দিকে নুরজাহানের জ্ঞান ফিরলে তাকে পুনরায় অচেতন করার জন্য ০৩টি ঘুমের ইনজেকশন পানিতে মিশে খাওয়ায়। নুরজাহান পুনরায় অচেতন হইলে বিকাল ০৫:০০ ঘটিকার দিকে বাহিরে থেকে ০১টি ফল কাটার চাকু কিনিয়া আনিয়া অচেতন নুরজাহানের হাত বাধিয়া জবাই করিয়া হত্যা করিয়া পালিয়ে যায়।
পুলিশ অভিযান পরিচালনা করিয়া ঘাতক শাহীন আলমকে বগুড়া শহর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। তাহার দেওয়া তথ্য ও তাহার দেখানো মতে তার বাড়ীর পার্শ্ববর্তী মহাসড়কের নিচ দিয়ে যাওয়া ড্রেন থেকে একটি ব্যাগে রক্ষিত হত্যা কাজে ব্যবহৃত চাকু , ইনজেকশনের ভাংগা সিসি, নুরজাহানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, চশমা, কোকা কোলার বোতল উদ্ধার করে। আজ (ইং ০৪/০৯/১৯) আসামী শাহীন আলমকে বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করিলে কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় সেচ্ছায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।