বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসীকে জিম্মি করে বাংলাদেশে ভিকটিমের পরিবারের নিকট হতে মুক্তিপন আদায় কালে অপহরন চক্রের ০২(দুই) সদস্য গ্রেফতার।

২৯ জুন, ২০২৪

বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসীকে জিম্মি করে বাংলাদেশে ভিকটিমের পরিবারের নিকট হতে মুক্তিপন আদায় কালে অপহরন চক্রের ০২(দুই) সদস্য জেলা গোয়েন্দা শাখা, পাবনা কর্তৃক গ্রেফতার এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার। বাদী মোছাঃ মলিনা খাতুন (৫৫), স্বামী মোঃ ইদ্রিস আলী, সাং-রামানন্দপুর, থানাঃ পাবনা সদর, জেলাঃ পাবনা অভিযোগ করেন যে, তার ছেলে মোঃ মাসুদ (৪০) গত ৪ বছর যাবত লিবিয়ার সিটি খলিফা নামক স্থানে দরজির দোকান নিয়ে ব্যবসা করে আসিতেছিল। গত ইং ১৩/০৫/২০২৪ তারিখ ০৪.৩০ ঘটিকার সময় ভিকটিম মোঃ মাসুদ তার স্ত্রীর ফোনে কল করে কথা বলে এবং কথা বলার এক পর্যায়ে সে বলে একটু পরে ফোন করছি। পরবর্তীতে ১৪/০৫/২০২৪ তারিখ সকাল ০৮.০০ ঘটিকার সময় অজ্ঞাতনামা ইমো নম্বর হতে ভিকটিম মোঃ মাসুদ এর স্ত্রীর এর ইমো নম্বরে ফোন করে বলে তার স্বামীকে অপহর করা হয়েছে জীবিত ফেরত চাইলে তাদের ১০,০০,০০০/-(দশ লক্ষ) টাকা মুক্তিপন দিতে হবে। টাকা না দিলে ভিকটিম মোঃ মাসুদকে প্রানে মারিয়া ফেলিবে বলে অপহরনকারীরা বাংলাদেশী বিকাশ নম্বর প্রদান করে এবং টাকা পাঠাতে বলে। ভিকটিম এর বাবা অপহরনকারীদের দেওয়া বিকাশ নম্বরে ১০,০০,০০০/-(দশ লক্ষ) টাকা প্রদান করে। উক্ত টাকা প্রদান করা পর ইং ২০/০৫/২০২৪ তারিখ আসামীরা ইমো নম্বর হতে পুনরায় ফোন করে আরো ১৫,০০,০০০/-(পনেরো লক্ষ) টাকা মুক্তিপন দাবি করে এবং তার ভিকটিম মোঃ মাসুদ কে মারধরের ভিডিও প্রেরন করে। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে পাবনা সদর থানায় ভিকটিম এর মা মোঃ মলিনা খাতুন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। উক্ত বিষয়ে অভিযোগ প্রাপ্তির পর পাবনা জেলার মাননীয় পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আকবর আলী মুনসী (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নাতি প্রাপ্ত) মহোদয়ের নির্দেশনায় এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ মাসুদ আলম, বিপিএম(পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) এর নেতৃত্বে ওসি ডিবি মোঃ এমরান মাহমুদ তুহিন, এসআই(নিঃ) বেনু রায়, কনস্টেবল মোঃ রিমন হোসেন, পিপিএম সহ ডিবির একটি চৌকশ টিম অপহরনকারীদের দেওয়া বিকাশ নম্বরের সুত্র ধরে অপহরনকারী এবং সহযোগীদের গ্রেফতারের জন্য কাজ শুরু করে।ডিবি টিম তথ্য প্রযু্ক্তির সহায়তায় ও অনুসন্ধানী নানান কৌশল ব্যবহার করে ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের সনাক্ত এবং গ্রেফতারের লক্ষ্যে ঢাকা, চাঁদপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। ‍উক্ত চক্রের সদস্য আসামী ১।মোঃ হাবিবুর রহমান ৥ সুমন (৩০), ২। মোঃ রবিউল আ্ওয়াল ৥ রবি (২৮), দ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় জানায় প্রবাসী আঃ রহমান এবং তার ভাই লিবিয়াতে থাকে তারা ভিকটিমকে লিবিয়াতে অপহরন করে বাংলাদেশে অবস্থানরত তাদের ভাই এর মাধ্যমে ধৃত আসামীদ্বয়ের ব্যবহৃত বিকাশ নম্বর সহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও দোকানের বিকাশ নম্বর ব্যবহার করে ভিকটিমের পিতার নিকট হতে মুক্তিপনের ১০,০০,০০০/- টাকা নেয় । ধৃত আসামী মোঃ হাবিবুর রহমান সুমন এবং প্রবাসী মোঃ আঃ রহমান একই সাথে গাজিপুর একটি কোম্পানিতে চাকুরি করার সুবাদে তাদের মধ্যে পরিচয় হয়। পরবর্তীতে মোঃ আঃ রহমান চাকুরি ছেড়ে লিবিয়াতে চলে যায় । প্রবাসী মোঃ আঃ রহমান সহ তার ভাই লিবিয়াতে থেকে গত ২০২৩ সাল হতে বাংলাদেশি প্রবাসীদের অপহরন করে একই কায়দায় মুক্তিপনের টাকা হাতিয়ে নিছে মর্মে ধৃত আসামীরা জানায়। ধৃত আসামী মোঃ হাবিবুর রহমান সুমন এর সাথে প্রসাবী আঃ রহমানের নিয়মিত Whatsapp, imo তে যোগাযোগ হয়। প্রবাসী আঃ রহমান ধৃত আসামীদের মাধ্যমে ভিকটিমের পিতার নিকট হতে উক্ত টাকা নেওয়ার পর তারা ভিকটিম মোঃ মাসুদকে মুক্তি না দিয়ে পুনরায় তার পিতার নিকট আরো ১৫,০০,০০০/- টাকা দাবি করে। গ্রেফতারকৃত আসামীর নিকট হতে উক্ত অপরাধের কাজে ব্যবহৃত বিকাশ নম্বর এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। ধৃত আসামীদের নাম ঠিকানা। ১।মোঃ হাবিবুর রহমান ৥ সুমন(৩০), পিতাঃ মৃতঃ পন্ডিত আলী বেপারী, সাং-দক্ষিন পশ্চিম দিঘলদি, থানাঃ মতলব দক্ষিন, জেলাঃ চাঁদপুর ২। মোঃ রবিউল আওয়াল ৥ রবি (২৮), পিতাঃ মোঃ দেলয়ার হোসেন গাজী, সাং-দক্ষিন পশ্চিম দিঘলদি, থানাঃ মতলব দক্ষিন, জেলাঃ চাঁদপুর। উদ্ধারকৃত মালামালের বর্ণনাঃ ১। দুইটি মোবাইল ফোন।







সর্বশেষ সংবাদ