জেলা গোয়েন্দা শাখা, পাবনার অভিযানে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ১০ (দশ) জন সক্রিয় সদস্য এবং ডাকাতীর কাজে ব্যবহৃত ট্রাক সহ লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার
১০ ডিসেম্বর, ২০২৩
জেলা গোয়েন্দা শাখা, পাবনার অভিযানে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ১০ (দশ) জন সক্রিয় সদস্য এবং ডাকাতীর কাজে ব্যবহৃত ট্রাক সহ লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার। ঘটনাঃ গত ইং ০৯/১১/২০২৩ তারিখ রাতে পাবনা জেলার আমিনপুর থানাধীন খাস আমিনপুর এলাকায় ভিকটিম মোঃ ফরমান সরদার এর মুদি দোকানের সাটার ভেঙ্গে এবং ভিকটিমকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এক দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা সংঘঠিত হয়। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে আমিনপুর থানার মামলা নং-১০ তারিখ ১০/১১/২০২৩ইং ধারাঃ ৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড ১৮৬০ রজু হয়। মাননীয় পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আকবর আলী মুনসী মহোদয়ের নির্দেশনায় পাবনা জেলাকে অপরাধ মুক্ত করার লক্ষ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) জনাব মোঃ মাসুদ আলম এর তত্ত্বাবধান এবং নেতৃত্বে ইং ২০/১১/২৩ তারিখ ওসি, ডিবি মোঃ এমরান মাহমুদ তুহিন এবং এসআই(নি:) মাহমুদুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা শাখা, পাবনা সহ সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স তথ্য প্রযুক্তি ও স্থানীয় সোর্স এর সহায়তায় পাবনা, সিরাজগঞ্জ এবং কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন থানা এলাকার দুইদিন ব্যাপী অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃ জেলা ডাকাত চক্রের মুল হোতা এবং পরিকল্পনাকারী মোঃ সেলিম সহ মোট ১০ (দশ) জন ডাকাত চক্রের সক্রিয় সদস্যকে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ট্রাক এবং ডাকাতির মালামাল সহ আটক করা হয়। উক্ত ডাকাত দলের সকল সদস্য এই ট্রাক ব্যবহার করে বিভিন্ন জেলায় রাস্তার আশপাশের বাজার, দোকানে ডাকাতি করে। ডাকাতিকালে তারা দিনের বেলায় রেকি করে রাত্রীতে ডাকাতি সংঘঠন করে থাকে। তারা সাধারণত: ২ টি ট্রাকে করে মহা সড়কে ঘুরে বেড়ায়। সদস্য থাকে ১২ থেকে ১৫ জনের মতো। তাদের এক-একটি ট্রাক যেন ঘর-বাড়ি। একবারে ৮-১০ দিনের জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। তারপরে চলে অনবরত চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি। আবার তাদের সেই ডাকাতি করার মালামাল নেওয়ার মহাজনও আছে জেলায়-জেলায়। এমনও মহাজন আছে যারা এই চক্রের কাছ থেকে ডাকাতি/চোরাই মাল নেওয়ার ক্ষেত্রে সেঞ্চুরি ও করে ফেলেছে। তাই ডাকাতরা তাদের কুকর্ম অনেকটা নির্বিঘ্নেই চালিয়ে যেতে পারে। ধৃত আসামীদের নাম ঠিকানা: ১. মোঃ সেলিম শেখ(৪৯), পিতা-মৃত গফুর শেখ, সাং-আমিনপুর, জেলাঃ পাবনা। ২. রিয়াজ @ মফু (৩১), পিতা-নুরুল হুদা, সাং-নলডগী, থানাঃ চন্দ্রগঞ্জ, জেলাঃ লক্ষ্মীপুর। ৩. মোঃ জাফর(২৯), পিতাঃ মৃত আঃ রহিম, সাং-হরেকৃষ্ণপুর, থানাঃ চাটখিল, জেলাঃ নোয়াখালী। ৪. মোঃ নুর সায়েদ খন্দকার @ শাহেদ (৫৭), পিতাঃ আব্দুল হক খন্দকার, সাং-ছোট্ট বালিয়াতলি (লালুয়া) , থানাঃ কলাপাড়া, জেলাঃ পটুয়াখালী। ৫. মোঃ সোহেল (২৯), পিতাঃ কবির হাওলাদার, সাং-কলসকাঠী, থানাঃ বাকেরগঞ্জ, জেলাঃ বরিশাল। ৬. মোঃ মনির ব্যাপারী (৩২), পিতাঃ মৃত মজিদ ব্যাপারী, সাং-পিনগ্রি, থানাঃ রাজাপুর, জেলাঃ ঝালকাঠি। ৭. মোঃ হাফিজুল @ আকাশ (২৯), পিতাঃ আমিনুর ইসলাম, সাং-বাসুরিয়া, থানাঃ রায়গঞ্জ, জেলাঃ সিরাজগঞ্জ। ৮. মোঃ সালাউদ্দিন @ সম্রাট (৩৮), পিতাঃ মোঃ আজাদুল ইসলাম, সাং-চন্ডিদাশগাঁতী,থানা ও জেলাঃ সিরাজগঞ্জ। ৯. মোঃ রুবেল শেখ (৩৪), পিতাঃ মোঃ খলিলুর রহমান, সাং-শিবনাথপুর, থানাঃ সিরাজগঞ্জ সদর, জেলাঃ সিরাজগঞ্জ। ১০. মো: ইয়াসিন আরাফাত (৪২), থানা- কলমাকান্দা, জেলা- নেত্রকোনা। উল্লেখ্য যে, ১নং হতে ৬নং আসামী ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য এবং ৭নং হতে ৯নং আসামী ডাকাতীর মালামাল ক্রয় বিক্রয়ে সহায়তাকারী। উদ্ধারকৃত আলামত: ১। ডাকাতিকৃত চাউল- ২৯ বস্তা। ২। ডাকাতী করা মোবিল-২০০ লিটার। ৩। গাড়ির টায়ার- ০৫ টি। ৪। গ্যাস সিলিন্ডার -২৩ টি। ৫। নগদ টাকা ২,১০,০০০/-(দুই লক্ষ দশ হাজার) টাকা। ৬। ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক। আসামীদের পিসিপিআরঃ উক্ত ডাকাত দলের সকল সদস্যদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ডাকাতী, দস্যুতা,চুরি, ছিনতাই সহ একাধিক মামলা রয়েছে।