২ জন গার্মেন্টস কর্মীকে আশুলিয়া থেকে প্রেমের অভিনয় করে ডেকে এনে দলগত ধর্ষণের ঘটনার মাত্র ছয় ঘন্টার মধ্যে আসামী সনাক্ত ও ৪ জন ধর্ষককে গ্রেফতার
০২ অক্টোবর, ২০২২
প্রেস রিলিজঃ তারিখঃ ২৫/০৯/২০২২ খ্রিঃ। ২ জন গার্মেন্টস কর্মীকে আশুলিয়া থেকে প্রেমের অভিনয় করে ডেকে এনে দলগত ধর্ষণের ঘটনার মাত্র ছয় ঘন্টার মধ্যে আসামী সনাক্ত ও ৪ জন ধর্ষককে গ্রেফতার করেন ঈশ্বরদী থানা পুলিশ। ঘটনাস্থল ও তারিখঃ ঈশ্বরদী থানাধীন মুলাডুলি ইউনিয়নের শেখপাড়া গ্রামের কৃষি ফার্মের আখক্ষেত। ২৪ সেপ্টেম্বর /২০২২ ইং সনের রাত্রি আনুমানিক ৮ টা থেকে ১০ ঘটিকার মধ্যে। ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ আশুলিয়ার সোনিয়া গার্মেন্টসের কর্মী ভিকটিম ১। অঞ্জনা আক্তার মাকসুদা (২৫) (ছদ্মনাম) এর সহিত ঈশ্বরদী থানা এলাকার জনৈক আলামিন এর সাথে কয়েকদিন পূর্বে অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যম ইমু এ্যাপসের মাধ্যমে পরিচয় ও যোগাযোগ হয় এবং মোবাইল নম্বর আদান প্রদান হয়। উক্ত পরিচয়ের সূত্র ধরে উক্ত গার্মেন্টস কর্মী অপর ভিকটিম ২।মোছা জান্নাত মীম (২২) (ছদ্মনাম) সহ অদ্য অনুমান ১৯.০০ ঘটিকার সময় আলামিনের সাথে দেখা করার জন্য আশুলিয়া হইতে ঈশ্বরদী থানাধীন দাশুড়িয়া ট্রাফিক মোড়ে এসে জনৈক আলামিনের সাথে সাক্ষাৎ করে। জনৈক আলামিন তার অন্য অজ্ঞাত ৪ জন সহযোগী মিলে ভিকটিম দের কৌশলে ঈশ্বরদী থানাধীন মুলাডুলি ইউনিয়নের শেখপাড়া গ্রামের কৃষি ফার্মের আখক্ষেতে নিয়ে যায়। এসময় আসামীগণ ভিকটিমদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় । পরবর্তীতে ভিকটিমদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ কে সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল হইতে ভিকটিমদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়। ভিকটিমদের দেয়া তথ্য ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ সুপার, পাবনার মহোদয়ের নিদেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মাসুদ আলমের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ঈশ্বরদী থানা পুলিশের আভিযানিক দল ঘটনার মাত্র ৬ ঘন্টার মধ্যে আসামীদের সনাক্ত করে নাটোর, কুস্টিয়া এবং ঈশ্বরদী এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত আসামী ১। আল আমিন (২৫), পিতা বাকি বিল্লাহ, সাং-ললক্ষ্মীকোলা, ঈশ্বরদী ২। আব্দুর রশিদ (৩৫), পিতা- আমজাদ হোসেন, সাং- গোপালপুর, বড়াাইগ্রাম, নাটোর ৩। মহিদুল ইসলাম (৩০), পিতা- নায়েব আলী সরদার, সাং- লক্ষীকোলা, থানা- ঈশ্বরদী, পাবনা এবং ৪। মোঃ জাবেদ (৩৫), পিতা- চাদ আলী, সাং-রাজাপুর, নাটোর কে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে আসামীরা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আসামী দের কে বিজ্ঞ আাদালতে প্রেরন করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে অপর আসামী গ্রেফতারে অভিযান চলছে।