বরিশালের শিশু ঘর পালিয়ে ট্রেনে উদ্দেশ্যবিহীনভাবে ঘুরছিল। ঘটনার বিস্তারিত হলঃ-
১৯ এপ্রিল, ২০২২
বরিশালের শিশু ঘর পালিয়ে ট্রেনে উদ্দেশ্যবিহীনভাবে ঘুরছিল। ঘটনাটি ট্রেনযাত্রী ঈশ্বরদীর ছাত্র আসিফুজ্জামান এর নজরে এলে তিনি পুলিশ সুপার পাবনা, মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান কে জেলা পুলিশ পাবনা আইডির মেসেঞ্জারে জানালে পুলিশ সুপার তাকে অনুরোধ করেন ছেলেটিকে থানায় পৌছে দিয়ে যেতে। ঘটনার বিস্তারিত হলঃ- গত ১৩/০৪/২০২২ তাং ১৭:৪৫ টার সময় শিশুবাচ্চা মোঃ ইব্রাহিম (১০), পিতাঃ কামাল হোসেন, সাং-বিল্লগ্রাম (গোমস্তা বাড়ি), থানা-আগৈলঝাড়া, জেলা-বরিশালকে অভিভাবকহীন অবস্থায় ট্রেনে ঘুরাফেরা করা কালে ঈশ্বরদীর ০১জন ব্যক্তি তাকে থানায় নিয়ে আসেন। শিশুটি বরিশাল হতে ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে এসেছিল। ঐ ট্রেনের যাত্রী আসিফ ছেলেটিকে তার নাম-ঠিকানা জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় তার বাড়ী আগালঝারা বরিশাল। শিশুটি জানায় যে, সে বাড়ী হতে তার মায়ের সাথে রাগ করে চলে এসেছে।এখানে তার কোন থাকার জায়গা নাই। পুলিশ সুপারের অনুরোধে আসিফ শিশুটিকে থানায় পৌছে দেন। পুলিশ সুপারের নির্দেশে ঈশ্বরদী থানার ডিউটি অফিসার ছেলেটিকে নিজ হেফাজতে নেয় এবং শিশুটিকে ঈশ্বরদী থানার নারী শিশু বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী হেল্প ডেক্স এ রাখা হয়। অফিসার ইনচার্জ ঈশ্বরদী থানা ছেলেটির পরিচয় উদঘাটন করেন এবং তার বাড়িতে খবর দিতে আগৈলঝাড়া থানায় যোগাযোগ করেন। আজ ছেলেটির পিতা থানায় এসে ছেলেটিকে নিজ বাড়ীতে নিয়ে যায়। পিতা-পুত্র একে অপরকে দেখে খুব খুশি। আসিফ ছেলেটিকে দেখে পুলিশ কে না জানালে শিশুটি হয়তোবা কোন পাচারকারীর হাতে পরত অথবা অভিভাবকহীনভাবে বড় হত, বখাটে হয়ে যেত বা মাদকসেবনে জড়িয়ে পড়তে পারতো। আসিফের মত তরুনেরাই এই বাংলাদেশের ভবিষ্যত। পাবনা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে অনেক ধন্যবাদ। পুলিশ সুপার, পাবনা তাকে পুরস্কৃত করবেন।