ফেসবুকে মেসেজ পেয়ে বাড়ী থেকে বিতাড়িত বৃদ্ধ কে নিজ বাড়ীতে ফিরিয়ে দিলেন পুলিশ সুপার পাবনা।

১৫ অগাস্ট, ২০২১

ফেসবুকে মেসেজ পেয়ে বাড়ী থেকে বিতাড়িত বৃদ্ধ কে নিজ বাড়ীতে ফিরিয়ে দিলেন পুলিশ সুপার পাবনা। পাবনা সদরের ৫ নং ওয়ার্ড, হিমায়েতপুর নিবাসী ( পূর্বে বাড়ি ছিল বাংলা বাজার) জনৈক বৃদ্ধ ভ্যানচালক। পাঁচ পুত্র ও এক মেয়ের জনক।এক পুত্র প্রায় তিন বৎসর যাবৎ মালয়েশিয়ায় থাকেন। ২৫ বৎসর পূর্বে তিনি বাংলা বাজার এলাকা থেকে হিমায়েতপুর এলাকায় ১০ কাঠা জমি ক্রয় করে ঘর বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিলেন। প্রায় ১০/১১ বৎসর পূর্ব থেকে তাহার স্ত্রী ও তার পুত্রগণ তার নামে উল্লেখিত জমি লিখে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে, তিনি নিজ নামীয় জমি লিখে দিতে না চাইলে তার স্ত্রীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বাহির করে দেয়। তারপর থেকে তার একমাত্র সম্বল একটি ভ্যান নিয়ে তিনি হিমায়েতপুর এলাকায় ভ্যান চালায় এবং মুদি দোকানের সামনে বিছানা ছাড়া খেয়ে না খেয়ে ভ্যানে রাত্রি যাপন করে। দীর্ঘদিন যাবৎ এভাবে রাত্রিযাপন করার জন্য তিনি শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন৷ তাদের এ ঘটনা নিরসন করার জন্য স্থানীয় গ্রামবাসী অনেক চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। হতাশাগ্রস্ত ব্যক্তি বিভিন্ন দোকানে বাড়িতে চেয়ে চিন্তে খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছেন। গতকাল রাতে এ ধরনের একটি খবর জেলা পুলিশ পাবনার ইনবক্সে মেসেজ পেয়ে পুলিশ সুপার পাবনা জনাব মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান, বিপিএম এসআই ডেভিড হিমাদ্রীকে ঘটনাস্থলে সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে বলেন। এসআই ডেভিড ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তদন্তে সত্যতা পান এবং এ সংক্রান্তে গতকাল রাতেই স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যকে বিষয়টি অবহিত করা হলে ইউপি সদস্য ও এলাকার প্রবীণ লোকজন ঘটনাস্থলে আসিলে তাদের সাথে এ অমানবিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করলে তারা সবাই ভ্যান চালক পিতারে তার বাড়িতে স্ত্রী পুত্রের নিকট তার বাড়িতে তুলে দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন, বৃদ্ধের বাড়িতে গেলে তার স্ত্রী ও পুত্রগণ পুলিশকে লক্ষ্য করে মারমুখী আচরণ করিলে কথা দ্বারা শান্ত করার চেষ্টা করেও কিছুতে নিবৃত্ত করতে না পেরে পুত্র তিনজন আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। বিষয়টি অত্যন্ত অমানবিক ও অবর্ণনীয়। তার এ ঘটনায় স্থানীয় প্রবীণ অনেকে চোখের জল ফেলেছে। পরবর্তীতে আজ পুলিশ সুপারের নির্দেশনা মোতাবেক জনাব আমিনুল ইসলাম অফিসার ইনচার্জ সদর থানা উক্ত বৃদ্ধকে তার ছেলেদের নিকট তাদের নিজ বাড়ীতে এসে বুঝিয়ে দেন। তার ছেলেরা এখন থেকে তাদের বাবাকে সব রকম দেখাশোনা করবে মর্মে অঙ্গিকার করে। সামাজিক অবস্থান বিবেচনায় তাদের নাম ঠিকানা প্রকাশ করা হলোনা।







সর্বশেষ সংবাদ