লিশের কাজের ভীড়ে হারিয়ে যাওয়া খবর পাবনা জেলা পুলিশ জনসেবায় অহর্নিশ।
০৮ অগাস্ট, ২০২১
পুলিশের কাজের ভীড়ে হারিয়ে যাওয়া খবর পাবনা জেলা পুলিশ জনসেবায় অহর্নিশ। গত ০১আগষ্ট ২০২১ রোজ রবিবার রাত অনুমান ২০ঃ১০ ঘটিকার সময় পাবনা কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল এলাকায় ১০ বছর বয়সী অপরিচিত একজন বালক ঘোরাফেরা করছে এমন সংবাদের প্রেক্ষিতে পাবনা থানা থেকে পাঠানো হয় এএসআই মোঃ আনোয়ারা হোসেন এর মোবাইল -৪ রাত্রিকালীন পার্টি'উদ্ধার করা হয় । ওসি পাবনা আমিনুল ইসলাম শিশুটিকে পরিস্কার করে, পোশাক বদলে, হোটেলে নিয়ে ভালো মত খাইয়ে থানার অফিস রুমে সুন্দর মত ঘুমানোর ব্যবস্থা করেন। শিশুটিকে জিজ্ঞাসা করলে শুধু তার নাম কাওসার বলে। পরবর্তীতে তার কাছে থাকা মোবাইল নিয়ে কাওসার এর খালা আমেনা বেগম এর সাথে রাতেই যোগাযোগ করা হয়, এরপর তার মা সালমা বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হয়। মা সালমা বেগম থাকেন ঢাকার মতিঝিলের এক বস্তিতে। কাজ করেন অন্যের বাড়িতে, কিভাবে পাবনায় আসবেন, হাতে কোন টাকা পয়সা নেই, আবার লকডাউন! রাতে কথা বলেন এস আই ডেভিড হিমাদ্রী বর্মা। এক পর্যায়ে রাত প্রায় একটার দিকে পাবনায় আসতে রাজি হন মা সালমা বেগম। পরিচিত একজনের নিকট থেকে ৭০০/- টাকা কর্জ করে রওনা দেন ঢাকার গাবতলী থেকে। এর মধ্যে ইং ০২ আগষ্ট, ২০২১ তাং ভোর ০৪ঃ৪৫ ঘটিকায় আবারও ফোন করেন মা সালমা বেগম এস আই ডেভিড হিমাদ্রী বর্মা'র কাছে। পরে মানিকগঞ্জ ঘাটে এসে ফেরীতে পার হয়ে পাবনার কাজীরহাটে চলে আসেন। এরপর কোনভাবে যানবাহনে ভেঙ্গে ভেঙ্গে পাবনা থানায় পৌঁছেন সালমা বেগম তখন ঘড়িতে বাজে বিকাল ১৬ঃ১০ ঘটিকা। অতঃপর গতকাল পুলিশ কর্তৃক উদ্ধার হওয়া কাওসার কে মা সালমা বেগম এর মুখোমুখি করা হলে মুচকি হাসি দিয়ে মা সালমাকে জড়িয়ে ধরে এরপর আবেগঘন মূহুর্ত, অতঃপর পুত্র কাওসার'কে মা সালমা বেগম এর নিকট হস্তান্তর করা হয় এবং অসহায় মা 'কে ব্রীফ করে যাতায়াতের খরচ দিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেয়া হয়।