সিরাজগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মহোদয়ের দিক-নির্দেশনায় জনাব মোঃ জিয়াউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম এ্যান্ড অপস্), সিরাজগঞ্জ এর তত্বাবধানে জনাব মোঃ আদনান মুস্তাফিজ, সহকারী পুলিশ সুপার, কামারখন্দ সার্কেল, সিরাজগঞ্জ ও জনাব মোঃ একরামুল হোসাইন, অফিসার ইনচার্জ, জেলা গোয়েন্দা শাখা, সিরাজগঞ্জদ্বয়ের নেতৃত্বে গত ২৫/১২/২০২৪ খ্রিঃ এসআই(নিঃ)/মোঃ নাজমুল হক, বিপিএম, জেলা গোয়েন্দা শাখা, সিরাজগঞ্জসহ সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সগণ বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানাধীন গোলচত্বরের উত্তর পার্শ্বে পাকা রাস্তার উপর চেকপোষ্ট ডিউটি করাকালে তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, ঢাকা হতে ০১টি সাদা রংয়ের X-NOHA নামক মাইক্রোবাস গাড়ীতে করে কতিপয় দূঃস্কৃতিকারী মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে সিরাজগঞ্জ এর দিকে রওনা হয়েছে। একই তারিখ দুপুর ১২.১৫ ঘটিকার সময় উক্ত গাড়ীর গতিরোধ করে আটকপূর্বক গাড়ীতে থাকা ব্যক্তিদের তল্লাশীকালে তাদের হেফাজত হতে ০২টি লোহার তৈরী রামদা, ০২টি লোহার তৈরী চাপাতি, ২০ হাত রশিসহ ০৪টি অতিরিক্ত গাড়ীর নাম্বার প্লেট উদ্ধার করেন এবং গাড়ীতে থাকা ডাকাত ১। মোঃ লিটন(৪২), পিতা-মৃত ইদ্রিস মিয়া, সাং-চর জব্বর, থানা-সূবর্ণচর, জেলা-নোয়াখালী, ২। মোঃ দুলু মিয়া(৩৮), পিতা-মৃত ইসহক মিয়া, সাং-অষ্টগ্রাম, থানা-অষ্টগ্রাম, জেলা-কিশোরগঞ্জ, ৩। মোঃ তৈয়ব আলী(৫০), পিতা-মোঃ মান্নান, সাং-পশ্চিম আলীপুর, ৪। মোঃ কাঞ্চন হাওলাদার(৩৫), পিতা-মৃত নাজিম আলী হাওলাদার, সাং-কালার চর, উভয় থানা-কালকিনী, জেলা-মাদারীপুরদের গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদে জানা যায় তারা দীর্ঘদিন হতে মহাসড়কে ঢাকা করে আসছিল এবং অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন আরও ডাকাত একত্রে মিলিত হয়ে ডাকাতি করার পরিকল্পনা করেছিল। এসংক্রান্তে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানায় একটি ডাকাতির প্রস্তুতি মামলা রুজু হয়। গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের নাম ও ঠিকানা- ১। মোঃ লিটন(৪২), পিতা-মৃত ইদ্রিস মিয়া, সাং-চর জব্বর, থানা-সূবর্ণচর, জেলা-নোয়াখালী, ২। মোঃ দুলু মিয়া(৩৮), পিতা-মৃত ইসহক মিয়া, সাং-অষ্টগ্রাম, থানা-অষ্টগ্রাম, জেলা-কিশোরগঞ্জ ৩। মোঃ তৈয়ব আলী(৫০), পিতা-মোঃ মান্নান, সাং-পশ্চিম আলীপুর, থানা-কালকিনী, জেলা-মাদারীপুর৪। মোঃ কাঞ্চন হাওলাদার(৩৫), পিতা-মৃত নাজিম আলী হাওলাদার, সাং-কালার চর, থানা-কালকিনী, জেলা-মাদারীপুর ডাকাতদের ব্যবহৃত অস্ত্র ও মালামাল উদ্ধার- ১। ০২টি লোহার তৈরী রামদা, ২। ০২টি লোহার তৈরী চাপাতি, ৩। ২০ হাত রশি ও ৪। ০৪টি অতিরিক্ত গাড়ীর নাম্বার প্লেট। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সার্বিক আইনানুগ প্রস্তুতি শেষে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।