প্রেস রিলিজ ঈশ্বরদী থানার চাঞ্চল্যকর রত্মগর্ভা মা হাজেরা খাতুনের হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন, লুন্ঠনকৃত মালামাল উদ্ধার এবং হত্যাকান্ডে জড়িত আসামী গ্রেফতার । বাদী জনাব সিবা-এল-রাজ্জাক (৪০)জানান যে, তার বাবার মৃত্যুর পর হতে তার মা হাজেরা খাতুন (৭৫) বাঘইলস্থ তাদের নিজ বাড়িতে একা বসবাস করতো। প্রতিবেশী আত্মীয় সেলিনা খাতুন ও মোঃ মিন্টু মোল্লা (৮০) তার মাকে দেখভাল সহ বাড়ির প্রয়োজনীয় কাজ করত। গত ইং-০৩/০৪/২০২৩ তারিখ রাত্রী অনুমান ৮.০০ ঘটিকার সময় ভিকটিম হাজেরা খাতুনের মৃতদেহ তার শয়নকক্ষের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। মোঃ আকবর আলী মুনসী, পুলিশ সুপার, পাবনা মহোদয়ের সার্বিক দিকনির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ মাসুদ আলম এর সার্বিক তত্বাবধানে এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপরাধ) মোঃ জিয়াউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ঈশ্বরদী সার্কেল বিপ্লব কুমার গোস্বামী ও পুলিশ পরিদর্শক মোঃ হাসান বাসির এর নেতৃত্বে একটি চৌকস দল হত্যাকান্ডের পর হতেই ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্থানে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সন্ধিগ্ধ আসামী মোঃ আবিদ হাসান(২৪)কে গ্রেফতারের উদ্দেশে অভিযান পরিচালনা করতে থাকে। অভিযানের একপর্যায়ে গত ইং ১২/০৪/২০২৩ তারিখ রাত্রী ১০.০০ ঘটিকায় কক্সবাজার কলাতলীস্থ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র সংলগ্ন এহসান বোর্ডিং এর ১০৩ নম্বর কক্ষ হতে এই মামলার হত্যাকান্ডে জড়িত সন্ধিগ্ধ আসামী মোঃ আবিদ হাসান(২৪)কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকালে আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, হত্যাকান্ডে ৫/৬ দিন পূর্বেও সে ঐ বাড়ীতে কাজ করেছে। কাজ করার সময় সে লক্ষ্য করে যে, হাজেরা খাতুন ধনী ও প্রৌঢ় এবং সে বাসায় একা থাকে। কেয়ারটেকার মিন্টুও বৃদ্ধ এবং চোখেও ভাল দেখতে পায় না। এই ভেবে সে হাজেরা খাতুনকে হত্যা করে বাসা হতে চুরি করার পরিকল্পনা করে এবং সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। হঠাৎ করে ভিকটিম হাজেরা খাতুন বাসায় শিমুল তুলা, সুপারী ও সজিনা পাড়ানোর প্রয়োজন পরলে সে তার বোন আয়শা খাতুনের মাধ্যমে আবিদ হাসানকে খবর পাঠায় ও আবিদ হাসান ঘটনার দিন গত ইং ০৩/০৪/২০২৩ তারিখ সকাল অনুমান ৮.০০ ঘটিকার সময় ভিকটিম হাজেরা খাতুনের বাসায় আসে। এরপর দুপুর অনুমান ১৪.৩০ ঘটিকার সময় ভিকটিম হাজেরাকে ঘুমন্ত অবস্থায় পেয়ে আসামী আবিদ বালিশ দিয়ে ভিকটিমের শ্বাস রোধ করে। ভিকটিম জেগে গিয়ে নড়াচড়া করলে সে খাট হতে নিচে পরে যায় এবং নিচে থাকা বাটি লেগে কপাল কেটে যায়। এরপর আবিদ আবার বালিশ দিয়ে শ্বাস রোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। ভিকটিম হাজেড়ার মৃত্যুর পরে তার হাতে থাকা চুরি ও কানের দুল খুলে নেয় । আলমিরা খুলে নগদ ৩০.৭০০/- (ত্রিশ হাজার সাতশত ) টাকা এবং একজোড়া কানের দুল পায় । এরপর বাড়ী তালাবদ্ধ করে সে বাড়ী হতে বের হয়ে যায়। গ্রেফতারকৃত আসামীর নামঃ ১। মোঃ আবিদ হাসান(২৪), পিতা- মৃত রতন আলী, মাতা- মোছাঃ বেদানা খাতুন, সাং- বিলসলঙ্গি জোলাপাড়া, থানা- সাথিয়া, জেলা- পাবনাকে এ/পি- নতুন হাট চর সাহাপুর লতিফের বাড়ী উদ্ধারকৃত মালামালের বর্ণনাঃ ১। এক জোড়া সিটি গোল্ডের চুরি। ২। দুই জোড়া স্বর্ণের কানের দুল। ৩। নগদ ২০,০০০/- টাকা ৪। ভিকটিমের ব্যবহৃত একটি নোকিয়া বাটন ফোন।