বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ হুমায়ুন কবিরের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার (২১ সেপ্টম্বর) দিবাগত রাতে হারুনুর রশিদ (৩৪) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত হারুনুর রশিদ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ইসলামপুর খাঁপাড়া গ্রামের মোশারফ খানের ছেলে। থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর (শনিবার) বিকেলে হুমায়ুন কবির (৩২) নিখোঁজ হন। গত ২১ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেলে হুমায়ুনের মোবাইল ফোন থেকে তার বাবার কাছে ফোন করে ১লাখ টাকা চাঁদা দাবী করা হয়। এরপর ২১ সেপ্টেম্বর সকালে হুমায়ুনের বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে হুমায়ুন কবির হত্যার সঙ্গে জড়িত হারুনুর রশিদকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত হারুনুর রশিদ ও নিহত হুমায়ুন কবির ঘনিষ্ট বন্ধু ও মাদকসেবী। দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আলী জানান, বগুড়া পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বিপিএম সেবা এর দিকনির্দেশনায় ও আদমদীঘি সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাজরান রউফ এর তত্বাবধানে দুপচাঁচিয়া থানার এসআই বকুল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স সহ মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে হুমায়ুন কবির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হারুনুর রশিদকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারকৃত হারুনকে বগুড়ার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত-৪ মোমিন হাসান এর সামনে হাজির করলে সে ১৬৪ ধারায় হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।